অন্য রাজ্য থেকে এ রাজা কেউ এলে তাঁদের বহিরাগত তকমা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ রাজ্য থেকে কেউ অন্য রাজ্যে গেলে তালের বহিরাগত বলা হয় না। এটা বাংলার লজ্জা! বিজেপি মুসলিম বিরােধী নয়। এই সাড়ে ছ বছরে কোনও সংখ্যালঘুদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়নি।
বরঞ্চ এ রাজ্যে সংখ্যালঘুরা অনেক পিছিয়ে আছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়া জেলার পাঁচলার ধামসিয়াম জাতীয় সড়কের ধারে ভারতীয় জনতা পার্টির এক যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ এই মন্তব্যই করলেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, তৃনমূল সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। তিনি সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে বলেন বিজেপি মুসলিম বিরােধী নয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে সেখানে মুসলিমরা নিরাপদে আছে কেন্দ্রে সাড়ে ছয় বছর ক্ষমতায় আছে বিজেপি সেখানে দেশ থেকে কোন মুসলিমকে বিতাড়িত করা হয়নি।
তিনি বলেন বাংলার মুসলমানদের পুলিশের কেস ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছে। উন্নয়ন করতে দেয়া হয়নি, শিক্ষা-দীক্ষায় তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এ রাজ্যের শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করছে এ রাজ্যে কোনাে উন্নয়ন হয়নি বলে এদিন বলেন দিলীপবাবু। সংখ্যালঘু বিষয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন ষ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষ নিরাপদে বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন।
তিনি বলেন, ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে এলে বরািগত তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মানুষ গেলে তাদেরকে বহিরাগত বলা হয়না। এটা বাংলার লজ্জা। এ রাজ্যে আব্বাস সিদ্দিকীর দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিকার আছে তার দল গঠন করার এবং হায়দ্রাবাদের মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এরাজ্যে সংগঠন করার অধিকার আছে।
দিদির এত ভয় কেন? তিনি যদি সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করে থাকেন। তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন? সাচার কমিটির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন এ রাজ্যে। ভারতবর্ষের সব রাজ্যের তুলনায় সংখ্যালঘু মানুষ পিছিয়ে অন্যান্য দল থেকে বহু মানুষ এমনকি বহু সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যােগদান করেন এদিন এই অনুষ্ঠানে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ।
এই সমাবেশে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জী, হাওড়া গ্রামীণ বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল, বিজেপির রাজ্য নেতা অনুপম মল্লিক, হাওড়া জেলা সদরের বিজেপির সভাপতি সুরজিত সাহা, যুব নেতা সােমনাথ সাধুখাঁ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।