ঝাড়্গ্রাম জুলোজিক্যাল পার্কে পুজোয় রেকর্ড টিকিট বিক্রি

এবার পূজোয় রেকর্ড টিকিট বিক্রি ঝাড়্গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে। ষষ্ঠী থেকে দশমী এই ছুটির দিন গুলিতে পর্যটকদের উপচে পড়া  ভীড় ছিল জুলোজিক্যাল পার্কে। সারা বছর যেখানে গড়ে এই পার্কে দৈনিক এক হাজার মানুষের আগমন থাকে সেখানে পুজার দিন গুলিতে দৈনিক গড়ে আড়াই হাজারের কাছাকাছি মানুষ জন  ভীড় জমিয়ে ছিলেন। শুধুমাত্র সপ্তমী দিনই টিকিট বিক্রি হয়ে পঞ্চান্ন হাজার টাকার। গত বছর অক্টোবর মাস জুড়ে টিকিট বিক্রি হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। আর এবার পুজার মাত্র পাঁচদিনেই টিকিট বিক্রি হয়েছে দু লক্ষ টাকার বেশি। যা কিনা রেকর্ড বলে মনে করছে বনদপ্তর।

ঝাড়গ্রামের এই জুটি  পর্যটক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। জঙ্গল ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত জঙ্গল মহল জুলজিক্যাল পার্কটি ঘিরে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে ব্ল্যাক বার্ক। এছাড়া আলিপুর থেকে কথাবলা সাদা কাকাতুয়া,দুটি ইন্ডিয়ান সজারু আনা হয়েছে। বর্তমানে এরা কোয়ারেনটাইনে রয়েছে। এদের শারীরিক পরীক্ষার পর আট দশ দিনের মধ্যে দর্শকরা যাতে দেখতে পারেন সেজন্য এনক্লোজারে রাখা হবে। এছাড়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হবে।

সেজন্য এনক্লোজার তৈরির কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। আর এর জন্য অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে শিশুদের জন্য পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ঘাস লাগানো চলছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে, আগামী এক বছরের মধ্যে অনেক নতুন নতুন পশু,পাখি নিয়ে নিয়ে আসা হবে। মনে করা হচ্ছে আগামী বছর পুজার সময় আরও বেশি টিকিট বিক্রি হবে। উল্লেখ্য চিড়িয়াখানার টিকিটের মূল্য বড়দের পঁচিশ টাকা এবং ছোটদের জন্য দশ টাকা।


উল্লেখ্য,  ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দেড় থেকে দু কিমির মধ্যে  ধবনি বিটে প্রায় তেইশ হেক্টর  জমির উপর এক সুন্দর জঙ্গলঘেরা প্রকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এই চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার  প্রকৃতিক পরিবেশে এখানে রয়েছে ৩৩৯ টি বিভিন্ন প্রজাতির পশু,পাখি, সাপ। লেপার্ড থেকে শুরু করে সজারু, হায়না, নেকড়েবাঘ,   ভালুক, কচ্ছপ, ফিসিং ক্যাট, জঙ্গল ক্যাট, ময়ূর,ভালুক, নীল গাই, গোসাপ, কেইটে,
গোখরো, চন্দ্রবোরা, পাইথন সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ রয়েছে।

এছাড়া অন্যতম মূল আকর্ষন চিতল হরিন,শম্বর ও বার্কি ডিয়ার। বাজ, শকুন সহ নানা প্রজাতির পাখি এখানে রয়েছে। রয়েছে নানা প্রজাতির বানর। ঝাড়গ্রামের এই চিড়িয়াখানাটি ঘিরে পর্যটক মহলে ক্রমাগত উৎসাহ বাড়ছে। এবার পুজায় বিপুল মানুষের ভীড় সেই  উৎসাহেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন ‘চিড়িয়াখানা ঘিরে মানুষের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখা গিয়েছে পুজার কটা দিন। সপ্তমীর দিন পঞ্চান্ন হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। জুর আকর্ষণ বাড়াতে আরো অনেক কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’