অবশেষে নিজেদের হেফাজতে কাউন্সিলার তপন কান্দু হত্যার ঘটনায় ধৃত তিন জনকে পেল সিবিআই। রবিবার খানিকটা নজীরবিহীন ভাবেই বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরুলিয়া জেলা আদালত খুলে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলে সিবিআইকে এই আসামী হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। তপন কান্দু হত্যা মামলার তদন্ত ভার নেওয়ার পর এদিন প্রথমার্ধে জেলা আদালতে এসে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন করে সিবিআই।
ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আজ ছুটির দিন জানিয়ে শুনানী রদ করে দেন এর পর আদালত চত্বর থেকে বার হয়ে যেতে দেখা যায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সহ আধিকারিকদের। হঠাৎ করেই দুপুর নাগাদ আবার দেখা যায় জেলা আদালতের প্রবেশ পথ খোলা হচ্ছে।
এরপরই সিবিআই-য়ের গাড়িগুলি ঢুকতে শুরু করে। চলে আসেন আইনজীবী সহ কর্মীরা। পৌঁছে যান বিচারক। ওই একই এজলাসে শুরু হয় শুনানি। ঘটনায় গ্রেফতার আসামীদের পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয় আদালতে।
তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় ধৃত নরেন কান্দু, আশিক খান এবং কলেবর সিংকে তোলা হয় সেখানে। সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে ধৃত কলেবরের ৫ দিন, এছাড়াও নরেন কান্দু এবং মহঃ আশিক খানের ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতের আদেশ হয়।
তবে সবার আগে গ্রেফতার হওয়া দীপক কান্দুকে হেফাজতে নেবার কোনও আবেদন করা হয়নি। এদিন আসামীদের পক্ষে আদালতে ছিলেন জেলা আইনি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার আইনজীবী তন্ময় চক্রবর্তী।
বন্ধ আদালত খুলে আবার শুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছুটা আইনগত জটিলতার জন্য প্রথমার্ধে শুনানি হয়নি এরপর সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে তিন আসামীকে তাদের হেফাজতে পাঠানো হল।
তপন কান্দুকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত বাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য সিবিআই এই তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানান তন্ময়বাবু। আদালতের আদেশের পর সিবিআই তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।
এরমধ্যেই ঘটনায় সুপারী কিলার বলে অভিযুক্ত কলেবর সিং বলে, সিবিআই তদন্তকারীদের কাছে সে যে নির্দোষ তা জানাবে। আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিল সে। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে মহঃ আশিকও।
এদিন বিকেলেই তাদের নিয়ে ঝালদায় বন দফতরের বাংলোতে নিজেদের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যায় সিবিআই। সন্ধ্যায় তাদের এক প্রস্থ জেরা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ধৃত তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ঘটনাস্থলেও।