নিজেদের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো সিবিআই। এজন্য শুক্রবার ঝালদা ফরেস্ট গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে চলে আসেন সিবিআইয়ের ডি আই জি অখিলেশ সিং। তিনি নিজেই অনান্য আধিকারিকদের সংগে গিয়ে পরিদর্শন করেন ঘটনা স্থলটি।
গত মাসের ১৩ তারিখ যে জায়গায় দুষ্কৃতীদেরগুলিতে ঠিক যেখানে পড়ে যান ঝালদা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু, সেই জায়গা খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। এরপর সিবিআই কনভয় পৌঁছে যায় নিহত তপন কান্দুর বাড়িতে।
ডি আই জি বাড়ির ভেতরে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তপনবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর সাথে। তবে কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। এনিয়ে কোন কথা বলতে চাননি ডি আই জি নিজেও।
এদিন সকালে ঝালদায় ফরেস্ট গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয় তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের। পৌঁছে যান তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই, যাদব রজক, প্রদীপ চৌরাসিয়া, উজ্জ্বল চট্টরাজ ও নিহতের ভাইপো মিঠুন কান্দু।
সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে তা অন্যদিকে ঝালদার তপন কান্দু খুনের ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা তিনজনকে হঠাৎ করেই এদিন তোলা হয় পুরুলিয়া আদালতে। এদিন ধৃত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, আশিক খান ও কলেবর সিংকে কড়া পুলিশি প্রহরায় পুরুলিয়া আদালতে নিয়ে আসা হয়।
জেলা পুলিশের তরফে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজত হয়। এতদিন ধৃতরা পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। জেলা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে এই তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
যেহেতু সিবিআই তদন্তভার নিয়ে নিয়েছে তাই নিজেদের হেফাজতে আর তাদের রাখতে চাইছে না জেলা পুলিশ। উল্লেখ্য নরেন কান্দুর হত্যার ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া দীপক কান্দু ইতিমধ্যেই জেল হেফাজত রয়েছে। তাই তাকে আর আদালতে তোলা হয়নি।