• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 April, 2025

শপথ নিয়েই আরজি কর মামলা শুনতে পারেন জয়মাল্য

১৯৯১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯১ সালে ২৮ নভেম্বর তিনি অ্যাডভোকেট হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন।

ফাইল চিত্র

সুপ্রিম কোর্টে যোগদানের প্রথম দিনে আর জি কর মামলা শুনতে চলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে থাকতে পারেন তিনি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি বাগচী। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। শপথ নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে তৃতীয় বিচারপতি হিসাবে তাঁকে দেখা যেতে পারে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন স্পর্শকাতর আর জি কর মামলার বিচারপতির বেঞ্চে জায়গা পেতে চলেছেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা।

গত ১০ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম তাঁকে বিচারপতি হিসাবে মনোনীত করেছিল। ছুটির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় বিচারপতি বাগচীর শপথগ্রহণ হয়নি। সোমবার শপথ করার পর তিনি কাজে যোগ দেবেন। শীর্ষ আদালতের প্রথা অনুযায়ী, নতুন কোনও বিচারপতি শীর্ষ আদালতে যোগ দিলে প্রথম দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে তাঁকে বসানো হয়। এবং শীর্ষ আদালতের কাজকর্মের পাঠ হাতে-কলমে শেখান প্রধান বিচারপতি। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা। ফলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে এই মামলা শুনবেন বিচারপতি বাগচী।

এর আগে হাই কোর্টে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুনেছেন তিনি। তাঁর এজলাসেই ছিল সিবিআইয়ের করা সঞ্জয়ের ফাঁসির আবেদনের মামলাটিও। সেটির শুনানি করতে পারেননি বিচারপতি বাগচী। তার আগেই শীর্ষ আদালতে তিনি মনোনীত হয়ে গিয়েছেন। এখন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা উঠতে পারে তাঁর কাছে। আরজি কর ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানির তালিকায় রয়েছে। সেগুলিও শুনতে পারেন বিচারপতি বাগচী।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর জন্ম ১৯৬৬ সালে ৩ অক্টোবর। তিনি ক্যালকাটা বয়েজ থেকে পড়াশোনা করেছেন । ১৯৯১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯১ সালে ২৮ নভেম্বর তিনি অ্যাডভোকেট হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্ট, অন্যান্য হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন।