বিপদসীমার কাছাকাছি তিস্তা, লাল সতর্কতা জারি সেচ দপ্তরের

নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দপ্তর। পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তায় বেড়েছে জল। তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত অঞ্চলে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধসের জেরে সেলফিদাড়া, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রায় সময়ই বন্ধ রাখা হচ্ছে সড়কটি। দার্জিলিঙের সিংমারিসহ একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে।

আবার সেচ দপ্তরের তরফে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তা নদীর ময়নাগুড়ির দোমহনি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবাসহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাগাতার বর্ষণের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে তিস্তা নদীর মেখলিগঞ্জ এলাকার বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিস্তার জলে ভাসছে সদর ব্লকের বাহির চর এলাকা। সেখানে ক্ষতির সম্মুখীন ৫০টি পরিবার। সেচ দপ্তর (নর্থ ইস্ট) বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর গজলডোবা ব্যারেজ থেকে শুক্রবার সকালে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় নামবে বৃষ্টি। কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়ার উন্নতি হবে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে।