বাম-কংগ্রেস-এর জোট এ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট শামিল হওয়ায় কংগ্রেস-এর অভ্যন্তরীণ কোন্দল তুঙ্গে বাগযুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানােয় কড়া সমালােচনা করেছেন আনন্দ। পাল্টা দিয়েছে অধীরও।
জোটের বিরুদ্ধে সওয়াল করে আনন্দ শর্মা টুইটারে লেখেন, ‘আইএসএফ-এর মতাে শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝােতা নেহরু গান্ধির ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবনার সঙ্গে মেলে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনও বাছবিচার করতে পারে না। তাঁর সংযােজন, ওই মঞ্চে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি ও সমর্থন বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক! তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত।
সােমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বামেদের সঙ্গে জোটের বৈঠকের পর তার জবাব দিয়েছেন অধীরও। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানাের অভিযােগ উড়িয়ে বল্লমপুরের সাংসদ বলেন, “এই মন্তব্য বেদনাদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক! সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, বিমান বসুরা সকলেই মঞ্চে ছিলেন । তাঁরা সবাই মৌলবাদী শক্তির হাত ধরলেন, এমন ধারণা কী করে হল, ভাবতে অদ্ভুত লাগছে।’
পাশাপাশি অধীরের ব্যাখ্যা, “কংগ্রেস তার দাবি মতাে জোটের কাছ থেকে ৯২ টি আসনই পেয়েছে। আইএসএফ-কে আসন ছাড়ছে বামেরা। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে অধীরের বক্তব্য, ‘কী ভাবে চলতে হবে, তা কোনও ব্যক্তির বিষয় নয়।
এআইসিসির সঙ্গে কথা বলে প্রদেশ কংগ্রেস পথ ঠিক করে। বাংলায় আমরা সেটাই করছি।’ ২০১৪ সালের জুনে রাজ্যসভার সাংসদ ম আনন্দ। কয়েক মাস পরেই তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে অধীরের খোঁচা, হয়তাে অন্য কোনও দল থেকে রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন। সেই কারণেই উনি এমন কথা বলছেন।