• facebook
  • twitter
Thursday, 7 November, 2024

সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়ল দুই পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নথি জমা পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে। বৃহস্পতিবার রানাঘাট ও হালিশহর পুরসভা নিজাম প্যালেসে নথি জমা দিয়েছে।

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নথি জমা পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে। বৃহস্পতিবার রানাঘাট ও হালিশহর পুরসভা নিজাম প্যালেসে নথি জমা দিয়েছে। সম্প্রতি এই দুই পুরসভার কাছ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়েছিল সিবিআই। এই নথিগুলিই এদিন সিবিআই দপ্তরে জমা পড়ল।

তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভা, উত্তর দমদম পুরসভা ও কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার হালিশহর ও রানাঘাট পুরসভাকে পাখির চোখ করেছে তদন্তকারীরা। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কত নিয়োগ হয়েছে, কাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে সেই সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। রানাঘাট ও হালিশহর পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের ইমেল করে তথ্যগুলি চেয়েছিল সিবিআই। সেই মতো বৃহস্পতিবার এই দুটি পৌরসভার তরফে নিজাম প্যালেসে নথিগুলি পাঠানো হল। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কত নিয়োগ হয়েছে এবং কাদের নিয়োগ করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত নথি সিবিআই দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসে সম্পূর্ণ তথ্য জমা পড়েনি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি নথি জমা পড়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও তথ্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে হালিশহর ও রানাঘাট পুরসভা।

নথি চাওয়ার পাশাপাশি এই দুই পুরসভার দুই শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধৃত অয়ন শীলের সাহায্যে পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। অয়নের থেকেই তদন্তকারীরা এই দুই আধিকারিকের কথা জানতে পারেন। এই বিষয়ে তাঁদের কাছে বেশ কিছু তথ্যও হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছিল। এই কারণে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথিগুলি সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সূত্র ধরে রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ -১৯ সাল নাগাদ এই দুর্নীতি হয়েছে। তদন্তে নেমে সিবিআই একাধিক পুরসভায় তল্লাশি শুরু করে। পুরপ্রধান ও পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও হয়। এর আগে হালিশহর পুরসভাতেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে।