মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তৎপর জেলা প্রশাসন
খায়রুল আনাম: শিল্পের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা বীরভূম জেলায় শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারি জমি পাওয়া যাবে কিনা, এবং পাওয়া গেলে সেই জমি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তার একটি পরিসংখ্যান রাজ্য প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু নবান্ন থেকে চেয়ে পাঠানোর পরই, বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে জেলার ল্যাণ্ড ব্যাঙ্কের প্রাথমিক তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হল নবান্নে। জেলার ১৯টি ব্লকের ভূমি আধিকারিকদের কাছ থেকে সরকারি জমির প্রাথমিক যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
যাতে প্রাথমিকভাবে তিনটি ব্লকের মধ্যে দুবরাজপুর ব্লকে ৮০০ একর, রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকে ৮০০ একর, রাজনগর ব্লকে ৫০০ একর ও খয়রাশোল ব্লকে ৪৩৩ একর– এই ২ হাজার ৫৩৩ একর সরকারি খাস জমির তথ্য দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভূমি দফতর-ই নয়, জেলার বনভূমি ও সেচ দফতরের জমি বেহাত হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা থেকে নবান্নে পাঠানো প্রাথমিক তথ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জেলায় সরকারের হাতে এমন ৫ হাজার ৩৮০ টি প্লট রয়েছে। যেগুলিতে শিল্প স্থাপনের উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে। এই জমিগুলি এখনই শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা যাবে। নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’একরের বেশি জমি আছে এমন প্লটেরই তথ্য এরমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে বড় প্লটের যেসব সরকারি জমি রয়েছে, সেগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সেই তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্লক ভূমি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকায় কোপাই নদী তীরবর্তী এলাকায় সরকারিভাবে নির্মাণ অযোগ্য বলে ঘোষিত ১১টি মৌজায় একের পর এক জমি জবরদখল করে কীভাবে আবাসন গড়ে উঠেছে, সে বিষয়েও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।