৫৭ তম মুক্তাইচন্ডী মেলা বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোদন হল মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলা সমিতির উদ্যোগে। একই সঙ্গে এদিন নবনির্মিত একটি অত্যাধুনিক হরিমন্দিরের উদ্বোধন হল। এই মেলা এবং মন্দিরের উদ্বোধনের আগে বেলকুণ্ডা এক হাজারের বেশি মহিলা মাথায় জল ভর্তি কলস নিয়ে প্রায় চার কিলােমিটার পদযাত্রা করে মন্দিরে এসে পৌঁছান। পরে জল দিয়ে হরিমন্দির ধোয়া হয়।
এই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন। বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিডিও অদিতি বসু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মােঃ আরমান এবং সদস্য কৈলাসপতি মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফান্ধুনী কর্মকার ঘসি ও সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিত্র এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানরা। ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য এ কমিটির সভাপতি অশােক ঘােষ, ইসিএলের জেনারেল ম্যানেজার এ নন্দী এবং সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়।
এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন তাপস উকিল। স্বাগত ভাষণ দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল। প্রধান বক্তা হিসেবে বিশ্বদেব ভট্টাচার্য বলেন, শুধু মেলা নয়, রক্তদান আন্দোলন, চোখের ছানি অস্ত্রোপচার, শিক্ষাদান থেকে শুরু করে নানান সামাজিক কাজের সাথে নিয়মিতভাবে যুক্ত এখানকার আনন্দমেলা সমিতি সমস্ত স্তরের কর্মীরা।
একই সঙ্গে যেভাবে মন্দির ও মেলার উদ্বোধন হল তার মধ্যে দিয়ে মহামিলনের সম্প্রতি জেগে উঠেছে। এই সম্পর্ক ভান্না ঐতিহ্য এবং মহামিলনের মেলাকে টিকিয়ে রাখাই এই বাংলার আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি জরুরি।
মুক্তাইচন্ডীকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প আগামী দিনে তৈরি হােক এই আহ্বান জানান। সাত দিন ধরে এখানে ভজন, কীর্তন, কবি গান, বাউল, লােকগান সহ নানান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।