শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করলেন। ভার্চুয়ালি মেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি ফোনে বক্তৃতাও দেন তিনি। একই সঙ্গে তিনটি বাংলার শাড়ি শোরুমেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গা চক, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের ইকোপার্কে এবং নদিয়া জেলার ফুলিয়ায় এই শোরুমগুলি রয়েছে।
হস্তশিল্পী, তাঁতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং এমএসএমইগুলিকে বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এটি একটি অভিনব উদ্যোগ। এবছরই প্রথম বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি এবং বেসরকারি – যৌথ উদ্যোগে এই উৎসব আয়োজিত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে এমএসএমই-র বিরাট ভূমিকা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, শাড়ি তৈরিতে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এক একর জমিতে বেসরকারি সহযোগিতায় একটি সমস্ত পরিষেবা সম্পন্ন শপিং কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কমপ্লেক্সের দুটি তলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং রাজ্য মালিকানাধীন ব্র্যান্ডগুলির জন্য নির্ধারিত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ও রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোনয়ন নিগম এই বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের মূল আয়োজক। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এই মেলার রিটেল এবং এক্সপো পার্টনার। ফিকি এই মেলার চেম্বার পার্টনার।
প্রায় ২৭০টি স্টল রয়েছে বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালে। এর মধ্যে অন্যতম মঞ্জুশা, তন্তুজ, বাংলার শাড়ি, বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশন, বঙ্গশ্রী, বাংলার শাড়ি, রেশম শিল্পীদের স্টল। এছাড়াও রয়েছে সেনকো, খাদিম, মকাইবাড়ি, ওবিটি, রূপা, ডলার, ইমামি, আইটিসির স্টল। এছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্টিল, প্লাইউড, চামড়ার দ্রব্যের স্টলও রয়েছে। গৃহসজ্জা, ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র ফ্যাশন, ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি, গহনা, খেলাধুলা এবং ফিটনেসের জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। বাংলার জিআই-স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলার পটচিত্র, মাদুর কাঠি, কাঁথা, ছৌ-নাচের মুখোশের প্রদর্শনীও চলছে মেলায়।