জল, যানজটের মাঝেই জমজমাট শেষ রবিবারের পুজো বাজার

পুজোর মরসুমে শেষ রবিবার চুটিয়ে বাজার লুটে নিতে শহরমুখি মানুষ। (Photo: IANS)

পুজোর আগে খামখেয়ালি বৃষ্টিকে থােড়াই কেয়ার করে হুজুগে বাঙালি। সকালে অঝাের ধারাপাতের পরে যেই কাঁচামিঠে রােদ্দুর উঁকি মেরেছে মেঘের আড়াল থেকে অমনি উৎসবমুখর মানুষকে আর থামায় কে। পুজোর মরসুমে শেষ রবিবার চুটিয়ে বাজার লুটে নিতে শহরমুখি মানুষ। খুশির হাওয়া দোকানিদের মুখেও।

গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের চোখ রাঙানিতে নাস্তানাবুত হয়ে পড়েছিল পুজোর বাজারের ব্যবসায়ী মহল। রবিবার সকালের অবিরাম বৃষ্টির পরে যে আকাশের হাসি মুখ দেখার সুযােগ হবে তা অবশ্য ভাবতেই পারেনি শহরবাসী। তবে নিম্নচাপের জের সােমবার পর্যন্ত চলবে বলে আভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস।

তবে রবিবার সুয্যিমামার মুখ দেখামাত্রই পুজোর কেনাকাটায় ‘ফিনিশিং টাচ’ দিতে গড়িয়াহাট থেকে নিউমার্কেট, হাতিবাগান থেকে কলেজস্ট্রিট অভিমুখি মানুষ। উপচে পড়া জনস্রোত সামাল দিতে শেষ রবিবারে তাই শহরেও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মােতায়েন করা হয়েছে।


এর মধ্যেই শহরের বেশ কয়েকটি বড় পুজোর উদ্বোধন করায় সেসব এলাকাতেও ভিড় চোখে পড়ার মতাে। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষায় শহরের চিরপরিচিত জায়গাগুলিতে এক হাঁটু জল। ঠনঠনিয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট চত্বর, বেহালার কিছু অংশ, খিদিরপুর এলাকা, লালবাজার সহ রাধাবাজার এলাকা, রবীন্দ্র সরনি সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। এছাড়া পার্ক সার্কাস, ইএম বাইপাস, গডিয়া সংলগ্ন কিছু অঞ্চলেও হাঁটু সমান জল।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি থামলেও কয়েকটি এলাকার জল নামার লক্ষ্মণ নেই। যার ফলে শহরের কয়েকটি জায়গায় লক্ষ্য করা গেল যানজট। ত্রস্ত হাতে তা সামাল দিতে পথে নেমেছে বাড়তি পুলিশ।

কলেজস্ট্রিট এলাকায় তার মধ্যেই দোকান খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে বস্ত্রবিপননীগুলি। সেখানে নামমাত্র মানুষের দেখা মিললওে নিউমার্কেট থেকে গড়িয়াহাটে জমজমাট লােক সমাগম। হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজারেও শেষ রবিবারে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ।

তবে শহরের সবেক বাজারগুলির চাইতে এখন শপিংমলে কেনাকাটায় বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন মানুষ। এক ছাতার তলায় বৃষ্টি থেকেও স্বস্তি অন্যদিকে কেনাকাটা সেরে ভুরিভােজ টুকু সেরে নেওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বায়নাদারি বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখা যাচ্ছে শপিং মলের চাইল্ড জোনে। আর সব শেষে কোনও একটি রেস্তোরায় খেয়ে নিয়ে ক্লান্ত শরীরে নতুন জামার গন্ধ মেখে বেশ রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে দেখা গেল বহু মানুষকে।

আট থেকে আশির সমান উৎসাহ। বৃষ্টির জের থামায় দ্রুত মন্ডপ সজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। মহালয়া থেকেই শহরের ছােটখাট পাড়ার পুজোগুলােয় প্লাস্টিক জড়িয়ে কোনও কোনও মণ্ডপমুখি দুগ্গা পরিবার।