কড়া বিধিনিষেধ জারির পরও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। তবে আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য হলেও কমেছে রাজ্যের সংক্রমণ। একদিনে রাজ্যের ২২,৬৪৫ জনের শরীরে নতুন করে থাবা বসিয়েছে করোনা। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। পজিটিভিটি রেট ৩১.১৪ শতাংশ। যা স্বাভাবিকভাবেই জারি রেখেছে উদ্বেগ।
এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬৮৭ জন কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। আগের দিনের তুলনায় সামান্য হলেও বেড়েছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ৪,০১৮ জন।
আগেরদিন সংক্রমণ ছিল এর তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ১৫৩৩ জন। চতুর্থ স্থানে হুগলি। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ১৩৯৪ জন।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কম বেশি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮,৬৩,৬৯৭। একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ২৮ জনের।
দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন সেখানকার ৮ জন। যা স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ওই জেলার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০,০১৩ জন।
একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৮৬৮৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৬,৯৮, ২০১ গত ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভিটি রেট ৩১.১৪ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা ২০০।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোন। মেদিনীপুরে নতুন করে আরও চারটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।