• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় এজলাসেই বাবার কোল থেকে লাফিয়ে মায়ের কাছে শিশু

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৪ জুন– শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে একটি বিবাহ-বিচ্ছেদ বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। বাবা-মায়ের অশান্তির জেরে গত প্রায় ১ বছর ধরে মায়ের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত পাঁচ বছরের একরত্তি শিশু। শুক্রবার ভরা এজলাসে আচমকা মাকে দেখতে পেয়েই নিমেষে বাবার কোল থেকে লাফিয়ে মায়ের কোলে উঠে পড়ল ওই শিশু। এদিন এমনই

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৪ জুন– শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে একটি বিবাহ-বিচ্ছেদ বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। বাবা-মায়ের অশান্তির জেরে গত প্রায় ১ বছর ধরে মায়ের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত পাঁচ বছরের একরত্তি শিশু। শুক্রবার ভরা এজলাসে আচমকা মাকে দেখতে পেয়েই নিমেষে বাবার কোল থেকে লাফিয়ে মায়ের কোলে উঠে পড়ল ওই শিশু। এদিন এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ, বিবাহ-বিচ্ছেদে গড়িয়েছে বছর খানেক আগেই। ছোট্ট শিশুকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। ওই মামলাতেই এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা তিনদিনের জন্য শিশু কন্যাকে মায়ের কাছে রাখার নির্দেশ দিলেন। বাবার কোলে চড়ে ভরা এজলাসে এসে উল্টোদিকে মাকে দেখতে পেয়েই বাবার কোলের মধ্যে ছটফট করতে থাকে ছোট্ট শিশুটি। সন্তানকে অনেকদিন পর চোখের দেখা দেখতে পেয়ে মায়ের দু’গাল বেয়ে তখন উপচে পড়ছে কান্না। শিশুটি কানে কানে তাঁর বাবাকে কিছু যেন একটা বলে। কিন্তু সেটা মাইকের সামনে হওয়ায় সকলেই শুনতে পান যে, শিশুটি বলছে, ‘মায়ের কাছে যাব!’ সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি বাচ্চাটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শিশুর বাবাকে নির্দেশ দেন। হাসি ফোটে শিশুর মুখে। লাফিয়ে বাবার কোল থেকে নেমে মায়ের কোলে চলে যায় সে।

বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য স্বামী-স্ত্রী দু’জনের কাছে আবেদনও জানান বিচারপতি সিনহা। বাচ্চাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ২ ঘণ্টা একসঙ্গে সময় কাটানোর নির্দেশও দেন। ফের এজলাস বসলে স্ত্রী সংসার করতে রাজি হলেও স্বামী জানিয়ে দেন, তিনি বিবাহ বিচ্ছেদই চাইছেন। সন্তান কার কাছে থাকবে তা নিয়েও তৈরি হয় জটিলতা। কারণ, ওই বধূ আর্থিকভাবে স্বাধীন নন। তিনি দাদাদের সংসারে থাকেন।

অন্যদিকে সন্তানকে কাছ ছাড়া করতে নারাজ স্বামীও।দু’তরফ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শিশুটিকে ৩ দিনের জন্য মায়ের কাছে রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।আগামী মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি হবে। সেদিন শিশুটিকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যথায় ওই মহিলাকে জেলে পাঠানো হবে বলেও জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা।