আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। নির্যাতিতার বিচার সহ ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়ার চিকিৎসকেরা ধর্মতলায় ১২ দিনেরও বেশি সময় ধরে ‘আমরণ অনশন’ করছেন। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পথে নামে ‘জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা’ নামে মহিলাদের একটি সংস্থা।
সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তারা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে – এই কর্মসূচি নেওয়া হয় সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য, যাতে সিবিআই দ্রুত নির্যাতিতার বিচার করে।
‘জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা’ সংগঠনের জানিয়েছে, এবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান আরও জোড়ালো করার জন্য প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধু কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ করতে চাইছেন না তারা। জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তাদের আন্দোলনের স্বর।
শুক্রবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে কলকাতার পর জলপাইগুড়িতে প্রতিবাদ মিছিলে নামেন ‘জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা’ সংগঠনের’ মহিলারা। জানা যাচ্ছে, এতেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না তারা। যতদিন না সিবিআই আরজি করের ট্রেনি চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের কিনারা করছে এবং দোষীদের সঠিক সাজা দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভে সামিল থাকবে মহিলাদের এই সংগঠন।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে এক ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। প্রথমে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালালেও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। আর তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে।
পাশাপাশি জুনিয়ার চিকিৎসকেরা নির্যাতিতার বিচার যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং তাদের ১০ দফা দাবি সরকার যাতে মানে এই দাবি তুলে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন তারা। তাদের অনশনকে সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে জনসাধারণ এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট মহল।