আরজি কর কাণ্ডের আবহে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (আইএমএ)–র রাজ্য শাখা। রাজ্য শাখার এই এক্তিয়ার নেই বলে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল আইএমএ (দিল্লি)। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন।
আরজি কর কাণ্ডের পর একাধিক থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসছিল। একটি ভাইরাল ‘হুমকি’র অডিওকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সামনে আসে। ৯ আগস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন বিরূপাক্ষ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তিনি ‘থ্রেট কালচার’ চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সব অভিযোগকে সামনে রেখেই স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (IMA)-এর রাজ্য শাখা তাঁকে সাসপেন্ড করে। এই পরিস্থিতিতে এবার আইএমএ (দিল্লি)-র তরফে সর্বভারতীয় সভাপতি চিঠি দিয়ে জানান, কাউকে সাপপেন্ড করার এক্তিয়ার তাঁদের রাজ্যশাখার নেই। সেই চিঠিতেই বিরূপাক্ষের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বলা হয়।
বিরূপাক্ষের পাশাপাশি থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে অভীক দে নামে আরও এক চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অভীক দে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল ও এথিক্স কমিটির সদস্য ছিলেন বিরূপাক্ষ। সম্প্রতি আইএমএ–র বৈঠকে ফের অভীক ও বিরূপাক্ষকে দেখা যায়। মেডিক্যাল কাউন্সিলে তাঁদের এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। থ্রেট কালচার সহ আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁদের কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা–মা সহ আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে আইএমএ (দিল্লি)–র তরফে বিরূপাক্ষের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।