তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়া হল নন্দীগ্রাম থানার আইসিকে। নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে ডিআইবিতে বদলি করল জেলা পুলিশ। যদিও জেলা পুলিশের দাবি, এটা রুটিন বদলি। এর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী খুনের কোনও সম্পর্ক নেই।
অবশ্য একটি সূত্রের দাবি, ১৮ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হন। এরপর থেকে আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূলের একাংশ। এলাকার স্থিতাবস্তা বজায় রাখতে আইসি ব্যর্থ, এমন অভিযোগও করেন অনেকে। এছাড়া দুটি খুনের ঘটনার একটিরও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তার জেরেই এই বদলি বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের কাছ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহাদেব বিষয়ী। বয়স ৫২ বছর। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বাজারে তাঁর একটি দোকান ছিল। বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে তুলে যায় একদল দুষ্কৃতী। সারা রাত তাঁর খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল দোকানের সামনে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
আর তার আগে নন্দীগ্রামে বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খু্নের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপির লোকজন। তৃণমূল কর্মীর দাদা গুরুপদ মণ্ডলকেও মারধর করা হয়। মারের চোটেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সোনাচূড়া থেকে উত্তম মাইতি এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।