কমিশনকে তােপ মমতার, আমাকে দশবার শােকজ করলেও একই জবাব দেব

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

বিরােধী পক্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনকী নির্বাচন কমিশন-সবার ক্ষেত্রেই একইকম অনমনীয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বুধবার কমিশনের বিধিভঙ্গের নােটিশ পাওয়ার চব্বিশ ঘন্টা পরেও মমতা জানিয়ে দিলেন, আমাকে দশবার শােকজ করেও কোনও লাভ হবে না, একই জবাব দেব। 

বৃহস্পতিবার ডােমজুড়ের প্রচারমঞ্চ থেকে কমিশনকে প্রায় হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা। এমনকী এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকেও উদ্দেশ করে বলেন, শাে-কজ করে, কেস দিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। 

৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে মমতা বলেছিলেন, শয়তানদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভােট ভাগ হতে দেবেনাণা। বিজেপি এলে সমূহ বিপদ। সবচেয়ে বেশি বিপদ আপনাদের। বিজেপি ধর্মের নামে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। ওরা এলে বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করে দেবে। মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে অভিযােগ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মুখতার আব্বাস সিদ্দিকি। 


বিজেপির রাজ্যনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছিলেন, ধর্ম নিয়ে খেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘুরা ভােট ভাগ হতে দেবে কিনা, সেটা তাদের বিষয়। কমিশনেরও যুক্তি ছিল ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে ভােট চাওয়া আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। কোনও প্রার্থী ধর্মের ভিত্তিতে ভােট চাইলে তার প্রার্থীপদ খারিজ করা পর্যন্ত যেতে পারে। 

সংখ্যালঘুদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নােটিশ দিয়েছে কমিশন। শুক্রবারের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ পর্যন্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কমিশনের এই অভিযােগের উত্তরে মমতা বৃহস্পতিবার ডােমজুড়ের সভামঞ্চ থেকে বলেন, নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যাঁরা পাকিস্তানি বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ক’টা অভিযােগ দায়ের হয়েছে? খালি তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সব অভিযােগ?

নিয়মমাফিক মমতা নির্বাচন কমিশনের শােকজের লিখিত জবাব দেবেন কিনা, বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত তা জানা যায়নি।