করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার, সেইসঙ্গে ওমিক্রনের থাবা। রাজ্যে প্রথম ৯ দিনেই একের পর এক রেকর্ড গড়েছিল দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। তা রুখতে ১৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলায় জারি রয়েছে কোভিডবিধি।
একাধিক নিয়মকানুনের মধ্যে চলছে জনজীবন। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান দেখে আতঙ্ক কমছে না কিছুতেই।
এবার রাজ্যবাসীকে আতঙ্কের পরিবেশ থেকে বের করে আনতে অভয়বাণী শোনালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বাবুঘাটে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, কোভিড জয় করেছি, ওমিক্রনের দাপটও রুখে দেব। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক পরুন।
প্রয়োজনে বিল মাস্ক পরুন। অযথা ভয় পাবেন না এর পাশাপাশি করোনাযুদ্ধে সরকারি অফিসাররা কীভাবে জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন, তা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন।
ওই আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাবুঘাট থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার যাত্রা শুরু হয়েছে। এদিন তাই সেখানে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পর্কেও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এত কড়াকড়ির মধ্যেও যদি সংক্রমণ না কমে, তাহলে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থাৎ তিনি আরও কড়া কোভিডবিধি জারির কথাই পরোক্ষে বলেছিলেন।
বুধবার সেসব বিধির কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, সাবধানতা অবলম্বনই এখন মূল বিষয়। আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি।
কিন্তু করোনা বা ওমিক্রনের সংক্রমণ তো আমাদের হাতে নেই। গোটা বিশ্বেই তা ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তা বেড়েছে। এই অবস্থায় করোনা রুখতে হলে গুরুত্ব দিতেই হবে।
আর সেই গুরুত্ব দিয়ে আমরা সবরকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমার অনেক অফিসার আক্রান্ত। আর বাকি যাঁরা আছেন, তাঁরা কোভিড়ের বাড়বাড়ন্ত রুখতে যথেষ্ট কাজ করছেন।
আপনারা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। মহামারী রুখতে বরাবরই সময়োচিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেসবই মুখ্যমন্ত্রীর নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত।
ওমিক্রন এ রাজ্যে সামান্য থাবা বসাতেই তিনি নতুন বছরের শুরু থেকে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছেন। এবার নিজেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে প্রত্যয়ী বার্তা দিলেন। বললেন, কোভিড জয় করেছি ওমিক্রনও রুখে দেব।