• facebook
  • twitter
Monday, 20 January, 2025

‘মালদহের রাজনীতির রহস্য বুঝি না’

দুলাল সরকারের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী

মালদহে যাওয়ার আগে মুর্শিদাবাদে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

মালদহের ইংরেজবাজারে খুন হওয়া তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলার বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার জেলা সফরে গিয়ে চৈতালি ঘোষ সরকারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীন রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা জানান, মালদহের রাজনীতি তিনি বোঝেন না। এই রাজনীতির রহস্য তিনি ভেদ করতে চান।

সোমবার মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক সভা শেষে মালদহে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহে পৌঁছে বিকেলের দিকে তিনি দুলালের স্ত্রী চৈতালির সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর বাইরে বেরিয়ে মমতা জানান, দুলালের খুনের ঘটনায় যে–ই জড়িত থাকুক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। দোষীরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন সাজা তাঁকে পেতেই হবে। তিনি আরও জানান, দুলালের খুনের বিষয়ে তিনি একাধিক তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে সেগুলি তদন্তসাপেক্ষ বিষয় বলে মুখ খুলতে চাননি। এই ঘটনায় ডিজি, এসপি এবং আইবির তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গেও মমতা কথা বলেছেন।

দুলাল ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচিতির কথা এদিন জানান তৃণমূল নেত্রী। তাঁকে দলের নিরলস কর্মী বলে উল্লেখ করে মমতা। তিনি জানান, জেলাবাসীর মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন দুলাল। তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ তাঁর স্ত্রী চৈতালি সম্পূর্ণ করবে।

মালদহের অভ্যন্তরীন রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, জেলার রাজনীতিতে কিছু একটা রহস্য আছে। সেই রহস্য ভেদ করতে হবে। মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাংসদ-বিধায়ক আমরা পাই না। কিন্তু পুরভোটে আমাদের কেউ কেউ জিতে যায়। পুরসভা পাই আমরা। রহস্যটা কী? অনেক রকম খেলা চলে।’

চলতি মাসের ২ তারিখ ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন দুলাল। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তদন্তে নেমে আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন মালদহ শহরের তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। গ্রেপ্তার হওয়ার পরই নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতাকেই দুলাল–খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে পুলিশ।

অপরদিকে, দুলালের স্ত্রী চৈতালির দাবি, তাঁর স্বামীকে খুনের পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। বড় মাথারা জড়িয়ে থাকতে পারে। বাকি দোষীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাকড়াও করা হোক। এই আবহে চৈতালির সঙ্গে দেখা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বামী খুনের বাকি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চৈতালি। এরপরই মালদহের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।