• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মিহিলালকে আমি চিনিই না, উনি কারও শেখানো বুলি বলছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

বগটুই-কাণ্ড নিয়ে মিহিলাল শেখের তোলা যাবতীয় অভিযোগ। উড়িয়ে দিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

বগটুই-কাণ্ড নিয়ে মিহিলাল শেখের তোলা যাবতীয় অভিযোগ। উড়িয়ে দিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

মিহিলালকে তিনি চেনেন না। বলে জানিয়েছেন আশিস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ মিহিলাল তুলেছেন তা কারও ‘শেখানো’ বলেও দাবি করেছেন আশিস।

মঙ্গলবার মিহিলাল রামপুরহাটের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুলের সঙ্গে আশিসের নাম জড়িয়ে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “যারা আমাদের লোকজনকে পুড়িয়ে মারল তারা এখন জেলের মধ্যে বিয়ার খাচ্ছে। বাইরে থেকে জেলে খাবার যাচ্ছে।

এগুলো আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় করাচ্ছেন। এত দিন মুখ খুলিনি। সব লোককে টানাটানি করব না ভেবেছিলাম। কিন্তু পারলাম না।”

এর পরেই মিহিলালের তোপ, “উনি (আশিস) আমাদের উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করেছেন। উনি ভোটের সময় ‘ভাই’ বলেছিলেন। এখন বলছেন, ‘ভাই তোমাদের কোথায় বাড়ি?

আমি তোমাদের তো চিনি না।’ উনি এবং ওঁর ভাইপো আমাদের লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

আশিস গাইড করছেন আনারুলকে। উনিই আনারুলকে ব্লক সভাপতি রেখে দিয়েছিলেন। আনারুলকে বলে আশিস এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

কাউকে যেন না ছাড়া হয়। এক মাস পেরিয়ে গেল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বা ওঁর কোনও লোক আমাদের কোনও খবর নেয়নি।’

মিহিলালের তোলা অভিযোগ নিয়ে আশিসের বক্তব্য, “এটা সর্বৈব মিথ্যা কথা। মিহিলালকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে বা নামে চিনি না।

তিনি যে বিষয়গুলি বলেছেন তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। উনি মনে হয় কারও শেখানো বুলি বলছেন।

কারণ, এক মাস পর তিনি এটা বলছেন। তাই এমনটা মনে হচ্ছে।’ বহুগটুই কাণ্ডের পর এলাকায় পা রাখেননি আশিস, এমন অভিযোগও করেন মিহিলাল।

সেই দাবি খারিজ করে আশিসের পাল্টা বক্তব্য, “ঘটনার কথা শোনার পর সে দিনই আমি কলকাতা থেকে কপ্টারে করে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলাম।”

মিহিলাল এও অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ‘অত্যাচার’ করার নেপথ্যে রয়েছেন, আশিস।

ডেপুটি স্পিকারের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, “একটা প্রমাণ দেখান যে আমি অত্যাচার করেছি? আমি বাজে কথা বলি না। মিথ্যা কথা বলি না। আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত নই । আমি এক কাপ চা কারও থেকে খাই না।”