শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী উৎসবে জনজোয়ার, বিরোধীদের খোঁচা দেবাংশুর

মহালয়ার দিন থেকেই লেকটাউনের শ্রীভূমি হোক কিংবা কল্যাণীর আইটিআইতে পুজো দেখতে ভিড় জমান মানুষজন। হাজার-হাজার মানুষ পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। উৎসব পালনে সদর্থক ভূমিকা নিলেন জনসাধারণ। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবার অন্যরকম মহালয়ার সকাল দেখেছিল রাজ্যবাসী। মহালয়ায় ভোর দখল থেকে বিশেষ তর্পণে অংশ নিয়েছিল নাগরিকরা। যা দেখে প্রশ্ন ওঠে আদৌ এবার মানুষজন উৎসবে মেতে উঠবেন কিনা। কিন্তু মহালয়ার দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উৎসবে সামিল হন প্রচুর মানুষজন। দেবীপক্ষের সূচনায় পুজোর উৎসবে জনসাধারণ মেতে ওঠায় খুশি তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিরোধীদের কটাক্ষ করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

দেবাংশু ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী আইটিআই; মহালয়ার দিন থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে জনজোয়ার। যারা “উৎসব” বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, “উৎসবে ফিরছি না” বলে পিওর বাম সুলভ স্লোগান তুলেছিলেন, সাধারণ মানুষ তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন।’

দেবাংশু ভট্টাচার্য আরও জানান, ‘মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন গরিবের পেটে লাথি মেরে উৎসব বয়কট কোনও সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই গরিব গুলোর জন্যেই বলেছিলেন উৎসবে আসুন..বলেননি, বিচার ভুলে উৎসবে ফিরুন। বাংলা আজ বুঝিয়ে দিয়েছে, আইনের কাছে, আদালতের কাছে বিচারের দাবি যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে উৎসবের উদ্দীপনা। থাকবে, মাতৃ বন্দনাও। কোনও চক্রান্তেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ ইভেন্টকে বলি চড়তে দেওয়া যাবে না। জয় মা দুর্গা।’


অভয়া হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে বিরোধীদের গলায় শোনা গিয়েছিল উৎসবে ফিরছি না এমন বক্তব্য। মহালয়ার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উৎসবে আনন্দ করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। উৎসব উদযাপনে জনসাধারণের ভিড়ের ছবি ধরা পড়তেই মুখে হাসি তৃণমূল নেতৃত্বের। উৎসব পালনে অনীহা সম্পর্কে বিরোধীদের প্রচার ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।