হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে অর্থ বরাদ্দ, বসছে সিসি ক্যামেরা

আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যের সব বড় হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন। ডাক্তার, নার্সদের জন্য পৃথক বিশ্রামাগার তৈরি, অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে আলোর ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করল স্বাস্থ্য দপ্তর। উত্তরবঙ্গের ন’টি হাসপাতাল সহ রাজ্যের মোট ৩৭টি হাসপাতালের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর থেকেই সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে গোটা রাজ্যে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে রাজ্য সরকার ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চালু করেছে। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে নির্দিষ্ট অ্যাপ আগেই চালু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে সুরক্ষা বলয় আরও সুদৃঢ় করতে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এবার প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের জন্য বিভিন্ন বিভাগে পৃথক বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। লাগানো হচ্ছে বাড়তি সিসিটিভি ক্যামেরাও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৪০টি বিশ্রামাগার তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পূর্ত দপ্তর।

জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে আর্থিক বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ৬,০৭,৪০৩ টাকা, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতালের জন্য ৭,০৪,৪৮২ টাকা, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ১১,০০,৯৪৭ টাকা, জলপাইগুড়ির মাল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ৯,৯৪,০৪৬ টাকা, কোচবিহারের জেডি হাসপাতালে ৪,৩১,৫৮৮ টাকা, ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১৫,৮৫,৯০৯ টাকা, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ১৬,০৩,৬৩৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।


স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আসা টাকায় হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করা, চিকিৎসক থেকে নার্স সবার জন্য পৃথক বিশ্রামাগার তৈরি করে সেখানে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যেই বরাদ্দের অর্থ প্রতিটি হাসপাতালকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে দ্রুত টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৪০টি অন ডিউটি ডাক্তারদের বিশ্রামাগার তৈরি করা, প্রতিটিতে শৌচালয় তৈরি করার কাজ শুরু করেছে পূর্ত দপ্তর। এর পাশাপাশি পাঁচ লক্ষ টাকায় কিছু সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও করা হচ্ছে। দ্রুত কাজগুলি সেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে জানালেন কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা।