আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ এর অভিযোগ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছে , তাঁদের ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ১২ জন বুধবার হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে হাজিরা দেন। এবার সিনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠল। ১৩ জন সিনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ রয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে থ্রেট কালচারের অভিযোগে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন। বিস্তারিত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।
থ্রেট কালচার নিয়ে হাসপাতালে ইতিমধ্যেই একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটির কাছেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বিভিন্ন সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে। এদিকে, জানা যাচ্ছে, যে ১৩ জনের নাম তদন্ত কমিটির কাছে গিয়েছে, তাদের মধ্যে নির্যাতিতার পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসকও রয়েছেন। সিবিআই, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় যাঁদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল, তাদের মধ্যে থেকেও একজন চিকিৎসক এই ১৩ জন চিকিৎসকের তালিকায় রয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এবং একাধিক পড়ুয়ার থেকে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। এদিকে বুধবার ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসককে আরজি কর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার পরই উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। স্লোগানও দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিও হয় উভয় পক্ষের। এরপর অভিযুক্তদের তাড়া করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অবশেষে সিআইএসএফ জওয়ানদের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্তদের বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ।