নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর পর তিনটি বাইকে ধাক্কা। তারপর জাতীয় সড়কের উপরেই জ্বলতে শুরু করল কন্টেনার! বুধবার ভরদুপুরে বারাসতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই ঘটনাটি ঘটেছে। কন্টেনার চালক লালবাবু শেখকে ইতিমধ্যেই বারাসত পুলিশ পাকড়াও করেছে। কন্টেনারটি যে তিনটি বাইকে ধাক্কা দিয়েছে, ওই তিন বাইকের চালকও জখম হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, কন্টেনারটি একটি অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার পণ্য বহন করে।
অভিযোগ, যশোর রোড ধরে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। বিপত্তি ঘটে ডাকবাংলো মোড় সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে পর পর তিনটি বাইকে ধাক্কা মারে কন্টেনারটি। এরপরেও গাড়ি দাঁড় করাননি চালক। কন্টেনার নিয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় কন্টেনারের তলায় একটি বাইক আটকেও গিয়েছিল। আগুনও ধরে গিয়েছিল বাইকটিতে। সেই অবস্থায় পালাতে গিয়েই কন্টেনারের পেট্রল ট্যাঙ্ক আগুন ধরে যায়। জাতীয় সড়কের উপরেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কন্টেনার এবং বাইক। যার জেরে চারিদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় নিমেষে। হৃদয়পুর মোড় থেকে বারাসতের হেলাবটতলা মোড় পর্যন্ত কন্টেনারের বেপরোয়া গতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র।
বারাসত থানার পুলিশ-সহ ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল কার্যত ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে বারাসতের ডিএসপি ট্রাফিক নিহাররঞ্জন রায় বলেন, ‘ঘটনায় দুটি বাইক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তৃতীয় বাইক কন্টেনারের চাকায় আটকে আগুন ধরে ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পরেও গাড়ি থামাননি চালক। শেষমেশ ১১ নম্বর রেলগেট, কলোনি মোড় পেরিয়ে বারাসতের হেলাবটতলার কাছে ধরা পড়ে গাড়িটি। ধরা হয় চালককেও। তিনি আগুনে খানিক দগ্ধ হয়েছেন বলেও খবর স্থানীয় সূত্রে।