• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আরজিকর কান্ড আবহে ইলিশ উৎসব?  প্রশ্ন তুললেন কুণাল

আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমার ছবিও রেখেছিলেন। কিন্তু এই বছর এই সময়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিশ উৎসব ও ইলিশ মাছের সঙ্গে নিজেদের ছবি দেওয়াটা সচেতনতা বা রুচির পরিচয় নয়।

দীর্ঘদিন উত্তর কলকাতার কাকুরগাছি এলাকায় ইলিশ উৎসব করে আসছেন বিধায়ক পরেশ পাল।তবে এবার ইলিশ উৎসব নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ তৃণমূল। রবিবার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ইলিশ উৎসবের আয়োজন করেন।আরজিকর কান্ড  আবহে কেন ইলিশ উৎসব, এই প্রশ্ন সামনে রাখেন খোদ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, পোস্টারে তাঁর ছবি রাখায় তিনি তা সরাতেও বলেন।

পাল্টা পরেশের খোঁচা, -‘কুণাল নিজেকে উত্তর কলকাতার বড় নেতা মনে করেন’।রবিবার কাঁকুড়গাছিতে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করেন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, শ্রেয়া পাণ্ডে, অতীন ঘোষরা। তিলোত্তমা নিয়ে শহর যখন উত্তাল। তখন শাসকদলের বিধায়কের উদ্যোগে এমন মহাভোজের আয়োজন ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়।

কুণাল ঘোষও উত্তর কলকাতারই নেতা। তিনি বলেন, “আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমার ছবিও রেখেছিলেন। আমার মনে হয়েছে এই সময় এই পরিস্থিতিতে ইলিশ উৎসবটা…। প্রতি বছর ইলিশ উৎসব হয়। খুব ভালভাবেই হয়, হোক। কিন্তু এই বছর এই সময়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিশ উৎসব ও ইলিশ মাছের সঙ্গে নিজেদের ছবি দেওয়াটা সচেতনতা বা রুচির পরিচয় নয়।”

এ নিয়ে পরেশ পালকে জিজ্ঞাসা করা হলে পাল্টা বলেন, “এই জন্য কারও বাড়িতে বিয়ে হবে না, কারও অন্নপ্রাশন হবে না। কুণাল ঘোষ বড় লিডার, বলেছে।” যদিও কুণাল বলেন, এই সময় ইলিশ উৎসবে কোনও সুস্থ লোক যাবে না। অন্যদিকে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “আমাকে আন্তরিকভাবে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই আবহে এই ধরনের উৎসব উচিত নয়। আমি যাইনি। আমার না যাওয়াটাই হচ্ছে এই উৎসবের প্রতিবাদ।”

যদিও কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের খোঁচা, “উনি তো দীর্ঘদিন ইলিশ বেচে খাচ্ছেন। তার খাওয়াপড়ায় সরাসরি হাত দিলে মেজাজ তো হারাবেনই। আসলে নির্লজ্জ।”