উচ্চ মাধ্যমিক হবে চারটি সেমিস্টারে, থাকবে শ্রীজাতর কবিতা

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে বড় ঘোষণা করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে, আর বছরে একবার নয়, দু’বার সেমিস্টার সিস্টেমে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। শুধু দ্বাদশই নয়, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। ফলে, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টারে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।

জানা গিয়েছে, এবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের দু’বছরে চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে। একাদশ শ্রেণির দু’টি সেমিস্টার হবে। সেটা পরিচালনা করবে স্কুল নিজেই। তবে দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে দু’টি সেমিস্টার নেবে কাউন্সিল। ২০১৩ সালের পর উচ্চ মাধ্যমিকে এবার সিলেবাসেরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এমনকী, বাংলায় শ্রীজাতর কবিতা নতুন সংযোজন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, আগামী বছরই দু’টি নতুন বিষয়ের পরীক্ষা নিতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা সাইন্সের পরীক্ষা।
পরীক্ষা আকারে আগামী বছরই প্রথম এই বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা নিতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আগে উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০ টি বিষয় ছিল। এবার থেকে সেটি ৬২টি হল। সেক্ষেত্রে ১ম ও ৩য় সেমিস্টার হবে নভেম্বর মাসে। ২য় ও চতুর্থ সেমিস্টার হবে মার্চ মাসে। একটি অ্যাডমিট কার্ডেই ৩য় ও ৪র্থ সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।


তবে পুরনো তিনটি বিষয় গুজরাতি, ফ্রেঞ্চ এবং পঞ্জাবি ভাষা বাদ গিয়েছে। সঙ্গে এআই (সাইন্স স্টুডেন্ট), সাইন্স অফ ওয়েল বেইং ( সাইকোলজি ফর অল স্টুডেন্টস), সাইবার সিকিউরিটি (সাইন্স) এই তিনটি বিষয় যোগ হয়েছে। এবার থেকে কোনও বিষয়ে একটি সেমিস্টারে ফেল করলেও, আর একটি সেমিস্টারে সেই নম্বর পূরণ করলেই পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ করা হবে।

এছাড়াও আগামী বছর ২০২৫ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩ মার্চ। শেষ হবে ১৮ মার্চ। পরীক্ষা হবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আগামী বছরের যে রুটিন দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৩ মার্চ প্রথম ভাষার পরীক্ষা হবে। ৪ মার্চ বিভিন্ন ভোকেশনাল বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ৫ মার্চ দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা হবে।

অন্য দিকে, এবার ৩৮ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূলত পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। যা মাধ্যমিকের থেকেও বেশি বাতিলের সংখ্যা।