• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

প্রাথমিকের নির্মাণ ভাঙার অভিযোগ হাইস্কুলের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, প্রায় তিন মাস ধরে হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের সামনের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে রেখেছে।

বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা।

সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি বাতিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। এই ঘটনার জেরে এবার কি হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠলেন চাকরিহারা শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা? সম্প্রতি এমনই অভিযোগ উঠেছে হাইস্কুলের শিক্ষিকা ও ক্লার্কদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, কাঁথি পুরসভার চন্দ্রামনি ব্রাহ্ম বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাটি নজরে এসেছে ওই প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের। ঘটনা জানাজানি হতেই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা প্রবল বিক্ষোভে সামিল হয়। পড়ুয়াদের জন্য সরকারি উন্নয়নের কাজ কেন হাই স্কুলের শিক্ষিকা ও ক্লার্ক ভেঙে দিলেন? সেই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।

আরও অভিযোগ, প্রাথমিকের ভবন নির্মাণের জন্য ইট, বালি,পাথর প্রভৃতি আসার পরেও হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ তা বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি। ইট, বালি এখন রাস্তায় পড়ে রয়েছে। সরকারি স্কুলের সামগ্রী চুরি হয়ে গেলে, দায় কে নেবে? প্রশ্ন তুলেছে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঘটনার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থসারথি ত্রিপাঠি হাই স্কুলের ওইসব শিক্ষিকা ও ক্লার্কের একাংশের বিরুদ্ধে কাঁথি থানা, মহকুমা শাসক, শিক্ষাদপ্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, ব্রাহ্ম গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯০৭ সাল থেকে এখানেই পঠন-পাঠন চলছে। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৬৫০ জন। ওই প্রাথমিক স্কুলের পাশেই রয়েছে কাঁথি চন্দ্রামনি ব্রাহ্ম বালিকা হাইস্কুল। একই ক্যাম্পাসে দু’টি স্কুল চলে। কাঁথি পুরসভার থেকে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার অভিজিৎ রায়। প্রথম তলের বেশ কিছুটা নির্মাণও সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ, কাঁথি চন্দ্রামনি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়েরই বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা ও ক্লার্ক মঙ্গলবার সেই নব নির্মিত নির্মাণ ভেঙে দিয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, প্রায় তিন মাস ধরে হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের সামনের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে রেখেছে। মিড ডে মিলের ঘরও তালা বন্ধ। তার জেরে ছোট ছোট পড়ুয়ারা মাটিতে ধুলোবালির মধ্যে বসে মিড-ডে মিল খেতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ।

তবে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা কাঁথি থানায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও ক্লার্কদের গ্রেপ্তারির দাবি জানালেও হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।