• facebook
  • twitter
Friday, 17 January, 2025

স্যালাইন কান্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিষাক্ত স্যালাইন নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে।

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিষাক্ত স্যালাইন নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বেআইনি স্যালাইন কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় এক প্রসূতিরও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। রাজ্যের তরফে কলেজ সুপার সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করল রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরের কাছে। শুধু তাই নয়, রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছেও।

কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলা। সেই বেঞ্চের পক্ষ থেকেই এবার নির্দেশ দেওয়া হল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে রাজ্যের তরফ থেকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। পাশাপাশি, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে রাজ্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা নিয়ে রাজ্যকে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’। বৃহস্পতিবার স্যালাইন কান্ডের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চের পক্ষ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয় দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। বেঞ্চের তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘প্রথম রিপোর্ট জমা পরার পরই পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে আদালতের পক্ষ থেকে’।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার স্যালাইন কান্ডে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। আর তারপরেই হাইকোর্টের তরফ থেকে দেওয়া হল এই নির্দেশিকা। রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ। দফতরের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব এই রিপোর্ট দেবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রকেও রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘১৪ জানুয়ারি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজ্য যেন ওষুধ না ব্যবহার করে। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি’। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘প্রায় ১০ দিনের বেশি কেন দেরি করা হল এই ওষুধ প্রত্যাহার করতে?’ কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, ‘ওই কোম্পানিকে চিহ্নিত করে ওষুধ তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে’। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ১৩ জনের টিম গঠন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ মার্চ মাসে এই স্যালাইন কর্নাটক সরকার ব্যান করে। পশ্চিমবঙ্গকেও জানান হয়।