• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সাংসদ অর্জুন সিং – এর নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

কেন্দ্র এই সংক্রান্ত বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী জুলাই বলে জানা গেছে ।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে অর্জুন সিংহের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দশদিনের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন অর্জুন সিং । এরপর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং।

তবে এদিন বিজেপি – ত্যাগী সাংসদ অর্জুন সিংকে অন্তর্বর্তীকালীন কোনও নিরাপত্ত দিতে রাজি নয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে , ‘ হুমকির উপর নির্ভর করে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি। কোনও রাজনৈতিক দলের উপর নয় ‘। তবে অর্জুনের দাবি ‘ ব্যারাকপুরের মতো জায়গায় বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে।

শ’য়ে শ’য়ে সমর্থক তাঁকে ঘিরে থাকেন। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন , আপনার অনুগামীরা আপনাকে ফলো করবে। এতে অসুবিধা কোথায় ? কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন , ‘ অর্জুন সিংকে যখন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল , তখন রাজ্যের নিরাপত্তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। নমিত সিং – এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তকে গত ১২ মে এনআইএ গ্রেফতার করেছে।

এই মুহূর্তে তাঁর ( অর্জুন সিং – এর ) জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই । তবে আবার যদি কেন্দ্রের কাছে কেউ আবেদন করেন , সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে । কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয় , ‘ এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একটি হলুদ খাতা রয়েছে।

এই হলুদ খাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় একটি নথি। এটিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চেক করা হয় কার কার নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন , ‘ এমনও অনেকে রয়েছেন , যাঁরা সাংসদ নন , তাঁরা শুধুমাত্র পদাধিকারী এবং তাঁরাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।

রাজ্যের আইনজীবীর এহেন মন্তব্য এর প্রভুত্তরে বিচারপতি জানান , ‘ কারও উপর হুমকি কীরকম রয়েছে , তার উপর নির্ভর করে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি। কোনও রাজনৈতিক দলের উপর এটি নির্ভর করে না। কেন্দ্র এই সংক্রান্ত বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী জুলাই বলে জানা গেছে ।