বীরভূমের কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। কীভাবে বিস্ফোরণ? মৃত্যুর দার কার? প্রশ্ন অনেক। এবার বিস্ফোরণ কাণ্ডে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী। মামলাকারীর দাবি, একমাত্র এনআইএ-ই মামলার সঠিক তদন্ত করতে পারে। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর।
সোমবার কয়লা উত্তোলনের সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৭ শ্রমিকের। বীরভূমের খয়রাশোলের গঙ্গারামচক কয়লাখনিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ির জেলা সদর হাসপাতালে। জানা যায়, সোমবার সকালে গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট কোলিয়ারির কয়লাখাদান থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য কয়লাখনি গর্ভে বিস্ফোরণ ঘটাতে একটি লরিতে করে প্রচুর পরিমাণে জেলেটিন স্টিকের মতো বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
কয়লাখনিতে নেমেও কাজ করছিলেন অনেকেই। খয়রাশোল ব্লকের লোকপুরের ভাদুলিয়ার কাছে ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়িটি ঝাঁকুনি খেতেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফারণ ঘটে কয়লাখনির ভিতরেও। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে একের পর এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
মঙ্গলবার ছবিটা ছিল আরও ভয়াবহ। কার্যত শিউরে ওঠার মতো। এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহাংশ। পড়ে রয়েছে গাড়িটির ধ্বংসাবশেষ। মঙ্গলবার সকালেই এলাকা পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার। পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দলও। সত্যিই কি গাড়িতে বিস্ফোরক থাকার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা? নাকি বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? তা জানতেই তদন্তের দায়ভার যাতে বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ গ্রহণ করে, সেই দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকেই। মঙ্গলবার সেই আবেদনেই মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার ভারতীয় অবহেলিত পার্টি নামে এক রাজনৈতিক দলের সম্পাদক দীপককুমার সরকারের হয়ে আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান। বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। পুজোর পর আগামী ১৪ অক্টোবর মামলার শুনানির সম্ভাবনা।