মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে পুলিশি অনুমতি বিষয়ক এক মামলা। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জানায়, সভার অনুমতি দেওয়া যাবে। কিন্তু কোনওভাবে যেন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা সরকারি কর্মীদের ওপর হামলা না হয়, তাহলে এমন ধরনের ধরনা-বিক্ষোভ আদালত নিয়ন্ত্রণ করবে আগামী দিনে।
বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহের প্রতিবাদে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ধরনা-বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার সময়ে বিষয়টা স্পষ্ট করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি জানিয়েছেন, সভার অনুমতি দিলেও কোনওভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা সরকারি কর্মীদের উপর হামলা হলে আদালত
আগামী দিনে এমন ধরনা, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এটি। জনগণের নজর পাওয়ার জন্য এইসব বিক্ষোভ সভা থেকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর থেকে সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আদালত সেটা হতে দিতে পারে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতায় ৫ ডিসেম্বরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধরনা অবস্থান করবে ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি সংগঠন। বিজেপি-র প্রাক্তন সংসদ স্বপন দাশগুপ্তের সভাপত্বিতে ওই সংগঠন প্রায় আড়াই হাজার সমর্থক নিয়ে সভা করবে।
রাজ্যের দাবি, সেনাবাহিনীর অনুমতি পেলে ওইদিন পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। এদিন আদালতও সভার অনুমতি দেয়, কিন্তু বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করে দেন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হলে আগামী দিনে আদালত ব্যবস্থা নেবে। কলকাতায় বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাবেন একটি সংগঠনের কর্মী সমর্থকেরা। কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে সভার আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে, যেখানে রানি রাসমণি রোডে সভাটি হবে।