• facebook
  • twitter
Friday, 8 November, 2024

খাগড়াগড় কান্ডে জেএমবি জঙ্গীকে জামিন দিল হাইকোর্ট

শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান যে, 'এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে? সেটা অজানা এবং ইতিমধ্যে আজাদ ৮ বছরের সাজাও খেটেছে। তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল।'

ফাইল চিত্র

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত জেএমবি জঙ্গি আব্দুল কালিম ওরফে আজাদকে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আজাদকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তদন্তের স্বার্থে পরে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ২০১৪ সালের পর থেকে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এই অবস্থায় জেএমবি জঙ্গিকে জামিন দিল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।

আদালত সূত্রের খবর, গত ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুর্গাপুজোর উৎসবের সময় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। বিস্ফোরণে শাকিল গাজি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরও একজন আহত হন। বিস্ফোরণের স্থল এবং পরিস্থিতি বুঝে ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। বিস্ফোরকের নমুনা পরীক্ষা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।

শুধু তাই নয়, ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশে’র নাম জড়ায়। তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি বেশ কয়েকজন মহিলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতা, ইউএপিএ, অস্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। গোপন সূত্রে আব্দুল কালিম ওরফে আজাদকে কেরল থেকে গ্রেপ্তার করে এসটিএস। যদিও পরে এনআইএ’র হেফাজতেই ছিল সে।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করে আজাদ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান যে, ‘এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে? সেটা অজানা এবং ইতিমধ্যে আজাদ ৮ বছরের সাজাও খেটেছে। তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল।’ খাগড়াগড়ের মূল মামলায় বিচার শেষ করে ইতিমধ্যে ৮ বছরের নির্ধারিত সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে।