পড়তে বসতে হবে, তাই আন্দোলন থেকে আপাতত বিরতি

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে আসফাকুল্লা নাইয়া। ফাইল চিত্র

সঠিক শিক্ষা না থাকলে সঠিক প্রতিবাদ করা যায় না। তাই এবার তাঁদের পড়াশুনা করতে বসতে হবে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে সংগঠিত অন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়ার ফেসবুক পোস্টে উঠে এল এমনই বেশ কয়েকটি দিক।

সুদীর্ঘ আন্দোলন করেছেন তাঁরা। ধরনা থেকে অনশন, রাজপথ থেকে কলেজ ক্যাম্পাস, দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এভাবেই আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। বিচারের দাবির সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও লড়াই চলেছে সমান্তরালে। দফায় দফায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন, ধরনা করেছেন, স্বাস্থ্যভবন, লালবাজার, নবান্ন অভিযান করেছেন। সবশেষে আমরণ অনশনের পথে হেঁটেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

অনশনের আগে ও পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একাধিকবার বৈঠক করেছেন তাঁরা। সেই বৈঠকগুলির পর বেশ কিছু দাবি সরকারের কাছে মান্যতা পেলেও অনেক দাবিই পায়নি। কিন্তু এখন তাঁদের অনেকেরই সামনে এমএস ও এমডির পরীক্ষা রয়েছে। দিনরাত আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনা থেকে দীর্ঘ সময় বিরত ছিলেন পড়ুয়া চিকিৎসকদের একাংশ। তাই এবার পরীক্ষার আগের কয়েকদিন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে চান আসফাকুল্লারা।


শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আসফাকুল্লা লেখেন, ‘সামনে এমএস/এমডি পরীক্ষা। আমাদের কয়েকজনকে পড়াশোনা করতে বসে পড়তে হল। হয়তো বেশ কয়েকজনকে বেশ কয়েকদিন দেখতে পাবেন না কিন্তু আন্দোলন চলছে এবং চলবে এটা ভুলে যাবেন না। যাদের পরীক্ষা এখনই নেই তাঁরা এবং আপনারা মিলে এ যুদ্ধ এগিয়ে নিয়ে যাবেন আশা রেখে পড়তে বসলাম।’

ওই ফেসবুক পোস্টে আসফাকুল্লা এও উল্লেখ করেছেন যে, অনেকে তাঁদের নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ, তামাশা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় অভিযোগও এনেছেন অনেকে, তাতে তাঁরা গুরুত্ব দেননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কোনও চেয়ারের ভয়ে কেউ তাঁদের বিচারের পথ থেকে নড়াতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। কিন্তু সামনে যেহেতু তাঁদের পরীক্ষা, সেই কারণে কিছুদিনের জন্য আন্দোলনের পথ থেকে কয়েকজন সরে দাঁড়াচ্ছেন। পরীক্ষার ভাল ফল করে বিচারের দাবিকেই আরও তীব্র করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। পরীক্ষা মিটলেই ফের সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের পথ অবলম্বন করবেন আসফাকুল্লারা।