অবশেষে মতবিরোধ মিটল। সংঘাতের পরিবর্তে সন্ধি প্রস্তাব। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তেমনই ছবি দেখা যেতে পারে। মুখোমুখি হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সাম্প্রতিক অতীতে উপ-নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়ে বিধানসভা বনাম রাজভবনের মধ্যে একাধিকবার জটিলতা, সংঘাত কম হয়নি। তবে এবার ছবিটা পাল্টাচ্ছে। রাজভবন সূত্রের খবর, সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করাতে আগামী সোমবার বিধানসভায় যাবেন রাজ্যপাল।
সোমবার বিধানসভায় আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফলে অনেকদিন পর মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে বিধানসভায় একসঙ্গে দেখা যাবে। সেখানে পরস্পরের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় ছাড়া আর কোনও কথা হয় কিনা, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন ছিল। ফল প্রকাশ পেলে দেখা যায় ৬টিতেই জয়ী হয়েছে শাসকদল। এরপরেই নিয়ম মেনে বিধানসভার তরফে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথের বিষয়টি নিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। পরিষদীয় দলের তরফেও রাজ্যপালের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। তবে সাম্প্রতিক অতীতে এই শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছিল। কখনও জয়ী প্রার্থীদের বিধানসভার পরিবর্তে রাজভবনে ডেকে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়েছিলেন বোস, কখনও বা স্পিকারের পরিবর্তে সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারকে। তা নিয়ে কম বিতর্কও হয়নি। ফলে এবারেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় ছিল। তবে সব সংশয় কেটে গেল রাজভবন থেকে আসা জবাবি চিঠিতে। জানানো হয়েছে, সোমবার রাজ্যপাল বোস নিজেই বিধানসভায় এসে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্বন্দ্ব ভুলে সহাবস্থানের বার্তা দিতেই দু’পক্ষ একমঞ্চে আসতে উদ্যোগী হয়েছেন। ফলে অনেকদিন পর সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে একফ্রেমে দেখা যেতে পারে।