বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সিলের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল বোস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৬৭ ধারার আওতায় ব্যাখ্যা চেয়েছে রিপোর্টটি আদৌ সত্য কি না? এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সেটাও বিশদে জানতে চেয়েছেন তিনি।

জলস্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি পাঁশকুড়ার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্লাবিত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিন দিনের জন্য বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা বন্ধ থাকবে। বাংলা তিনটি জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সীমানা রয়েছে। জেলাগুলি হল – পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান।


রাতারাতি সীমানা সিলের নির্দেশ কার্যকর হওয়ায় সমস্যায় পড়েন ট্রাকচালকেরা। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমানায় ট্রাকের লম্বা লাইনের ছবি চোখে পড়েছে। প্রচুর কাঁচামাল এবং গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী বহনকারী কার্গো ট্রাকগুলি সীমানায় আটকে পড়ে।

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনা না করে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) নিয়ন্ত্রিত ড্যামগুলি ৫ লক্ষ কিউসেক ছাড়ায় বাংলায় বন্যা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ম্যান মেড ফ্ল্যাড বা মনুষ্যসৃষ্ট বন্যা-য় বাংলার ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেন্ত্রীয় সরকার ডিভিসি-র প্রযুক্তিগত, যান্ত্রিক ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতা মানতে চাইছে না।

এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ডিভিসি নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তা তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছি।