স্কুলগুলির গরমের ছুটি নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। জেলাভিত্তিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে তারপর এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে রাজ্য। সরকার চায়, প্রয়োজন পড়লে দুপুরের বদলে সকালে ক্লাস করার স্কুলগুলি। সম্প্রতি, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৯০ দিন রাজ্যে তীব্র গরম পড়তে চলেছে। এই পূর্বাভাস পাওয়ার পরই ফের স্কুলগুলির গরমের ছুটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
চলতি বছরে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ১২ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি পড়ার কথা আছে। গত বছর ৯ থেকে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি ছিল। কিন্তু পরে সেই ছুটির মেয়ার বৃদ্ধি পায়। গত বছর প্রায় ২ মাস ছিল গরমের ছুটি। কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের দাবি, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মাত্র ১০/১২ দিন গরমের ছুটি হাস্যকর। তাই বছরের অন্যান্য ছুটি কমিয়ে গরমের ছুটি বাড়ানো হোক। আগে থেকেই এই পরিকল্পনা করা হোক। কারণ শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হলে পাঠ্যক্রম শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির সামেটিভ পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের দাবি, পরিকল্পনা না করে দুই মাস গরমের ছুটি দেওয়া হলে সরকারি বিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠন বিঘ্নিত হবে। সবথেকে বেশি অসুবিধা হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। কারণ পুজোর আগেই তাদের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে লম্বা গরমের ছুটি পড়লে পাঠ্যক্রম শেষ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমরা অতিরিক্ত ছুটির পক্ষে নই। সেমেস্টার পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ছুটি থাকলে পড়ুযাদের সমস্যা হবে। সামনে উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টার রয়েছে।পরিস্থিতি বুঝে দুপুরের বদলে স্কুলগুলি সকালে পড়ুয়াদের ক্লাস করাক।‘