কোভিড পরিস্থিতিতে পুজো নিয়ে ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সােমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় কোনও পুজো মণ্ডপে দর্শক প্রবেশ করতে পারবে না।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরাে সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, কোর্ট যেটা বলেছে আশা করি সরকার সেটা মানবে। যদিও এই সরকার কোর্ট মানে না। এবার অন্তত কোর্টকে জোর করে সরকারকে মানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, এ দিন বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয়নগরে শ্রমজীবী রান্নাঘরের উদ্বোধন করেন মহম্মদ সেলিম। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা আগেই বলেছি উৎসব করার সবার অধিকার আছে। কিন্তু যে জরুরি অবস্থার মতাে পরিস্থিতি চলছে সেখানে দাঁড়িয়ে ভােটের বাজার গরম করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সমস্ত বিধি উলঙ্ঘন করছেন এবং করাচ্ছেন সেটা ঠিক নয়। কারণ সবাই বলছেন এতে স্ট্রাইক হবে। এবং হাইকোর্ট এটা বুঝেছে।
উৎসবটা হল উপাসক উপাসকের সম্পর্ক। তার বদলে যে লােক দেখানাে ব্যাপারটা হচ্ছে সেটা কমাতে হবে। না হলে বিপদটা বাড়বে। হাইকোর্ট যেটা বলেছে আশা করি সরকার সেটা মানবে। কিন্তু যারা কোনও নিয়ম ও আইন মানে না, হাইকোর্টের নির্দেশ মানে না কিন্তু এবার অন্তত হাইকোর্টকে সাহস দেখাতে হবে, নির্দেশটাকে মানাতে হবে।
পাশাপাশি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে বলেন, দিল্লির পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে কোনও তফাৎ আছে? আসলে ওরা চাইছে পিছনের দরজা দিয়ে রাজভবনে ঢুকতে। আমরা বারবার এর বিরুদ্ধে ছিলাম। বরং মমতা ৩৫৬ করত। আমরা জানি মানুষ এই সরকারকে ছুড়ে ফেলে দেবে। বিজেপিও সেই সঙ্গে সঙ্গে ভয় পেয়েছে তাই ৩৫৬ করছে।
উল্লেখ্য, এ দিন কয়েকশাে মানুষকে কামারহাটির বিধায়ক মানস মুখার্জির পক্ষ থেকে পুজোর উপহার তুলে দেওয়া হয়।