স্বর্ণ যুগের অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক প্রয়াত

কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: আজ, শনিবার সকালে প্রয়াত হলেন স্বর্ণযুগের অন্যতম নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিক। গতকাল শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে এদিন রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আজ সকাল দশটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার ওই হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বহুদিন ধরেই মারণরোগ ক্যানসারে ভুগছিলেন বাংলা সিনেমার এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। একসময়ের রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর আকস্মিক প্রয়াণে টলিপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৪ সালে কোচবিহারে অঞ্জনা ভৌমিকের জন্ম। তাঁর নাম ছিল আরতি ভৌমিক। ২০ বছর বয়সে ‘অনুষ্টুপ চন্দ’ ছবির মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়। তবে প্রথম ছবি মুক্তির আগেই তিনি নাম বদলে হন অঞ্জনা। বাংলা সিনেমার স্বর্ণ যুগের এক অন্যতম অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক। উত্তম জমানায় তাঁর একাধিক সিনেমা বক্স অফিস হিট করে। ছয়ের থেকে আটের দশকে বাংলা সিনেমায় একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন বাংলার দর্শকদের। তাঁর অভিনীত সিনেমা চৌরঙ্গী, থানা থেকে আসছি, নায়িকা সংবাদ-এর মতো ছবি দর্শক সমাজে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায়। এইসব ছবিতে অভিনয় করে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে মোট ৭ টি ছবিতে অভিনয় করে বাংলা সিনেমায় অন্যান্য শীর্ষ নায়িকাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন অঞ্জনা। উত্তমের সঙ্গে তিনি ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রাজদ্রোহী’, ‘নায়িকা সংবাদ’, ‘কখনো মেঘ’, ‘চৌরঙ্গী’, ‘শুকসারী’, ‘রৌদ্রছায়া’ ছবিতে অভিনয় করেন।

যদিও অঞ্জনা ভৌমিক দীর্ঘদিন অভিনয় জগতে ছিলেন না। একটা সময় তিনি অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সংসার জীবনে মনোনিবেশ করেন। তাঁর দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা ও চন্দনা ভৌমিক অভিনয় জগতে এলেও তাঁরাও অভিনয় থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। তাঁর এক মেয়ে নীলাঞ্জনা এখন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের ঘরণী। তিনি আবার টেলি সিরিয়ালের একজন সফল প্রযোজক।