নারদ কাণ্ডে চার হেভিওয়েটের জামিন হতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, সিবিআই পিছনের দরজা দিয়ে গিয়েছিল আর রাজ্যপাল তাতে প্রশয় দিয়েছেন।
এদিন রাজ্যপালকে ‘প্রতিহিংসা পরায়ণ’ বলেও কল্যাণ কটাক্ষ করেছেন। রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভুত কাজ করছেন। এদিন আদালতে ঢােকার মুখে সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে রাজ্যপালকে একপ্রস্থ তােপ দেগেছিলেন কল্যাণ। রাজ্যপালকে রক্তচোষা এবং ‘পাগলা কুকুর’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিন দীর্ঘ শুনানির শেষে বিচারক অনুপম মুখােপাধ্যায় ধৃতদের সকলের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। আর তাতেই স্বাভাবিকভাবে খুশি কল্যাণ। তিনি বলেন, কার চাপে সিবিআই এ সব করছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে বাংলায়।
রাজ্যপাল স্বাধীনভাবে বা সরাসরি কখনও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারেনা। সরকারের মাধ্যমে যেতে হবে তাকে। সিবিআই গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসরকারকে পাঠায়নি।
নতুন সরকার গঠনের পরও চিঠি পাঠায়নি সিবিআই। স্পিকারে কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন এটা তার এক্তিয়ারের মধ্যে নেই।
নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিধানসভার বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না। সেদিন এই প্রশ্ন তােলেন কল্যান। এদিকে যতদূর জানা যাচ্ছে ধৃতদের রুিদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই।