করোনা আক্রান্ত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে বাইপাসের অ্যাপেলোতে স্থানান্তরিত করা হল বৃহস্পতিবার। তাঁর জন্য গড়া হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম।
গীতশ্রী’র শারীরিক অবস্থার গতিপ্রকৃতির খবরাখবর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গীতশ্রী’র পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান ইস্যু নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড়, তার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল কিংবদন্তি গায়িকার।
বৃহস্পতিবার সকালে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গ্রিন করিডরে তাঁকে আনা হয় হাসপাতালে।
এদিন বিকেলেই তাঁকে দেখতে এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করেন হাসপাতালের ডিরেক্টরদের সঙ্গে এবং মেডিকেল টিমের সঙ্গে।
বৈঠক চলাকালীনই রিপোর্ট আসে, শিল্পীর শরীরে থাবা বসিয়েছে কোভিড। কোভিড আক্রান্ত সঙ্গীতশিল্পীর চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেজন্য অ্যাপেলোতে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।
প্রথমে অবশ্য শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির কথা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই অ্যাপেলোতে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।
মুখ্যমন্ত্রীই নিজে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সব বন্দোবস্ত করেন। নবতিপর গায়িকার নিকটাত্মীয় কন্যাসমা সৌমী সেনগুপ্তের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এসএসকেএম-এর বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিংবদন্তি শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলেন, ‘আজ আর অন্য কোনও কথা নয়, চাইব উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুন’।
উল্লেখ্য, এদিন মদন মিত্রও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেখতে এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন।
পদ্মশ্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওঁর মতো শিল্পীকে অপমান করার কোনও অধিকার বিজেপির নেই। এই অপমান, এই ঔদ্ধত্যের জবাব দেবে বাংলার মানুষ।