‘সবাই বলো, লক্ষ্মী এলো’
নিজস্ব প্রতিনিধি— দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, তাঁর রাজ্যে নারীকল্যাণের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প৷ বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, এই প্রকল্পগুলিই উপকৃত করেছে লক্ষাধিক নারীদের৷ বাংলায় নারীদের ক্ষমতায়ন থেকে স্বাবলম্বী করা, সবই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের হাত ধরেই৷ এবার নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই প্রকল্পগুলির খতিয়ান তুলে ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা৷ মূলত মহিলাদের সমর্থন আদায়ে নয়া কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছে ঘাসফুল৷ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মালা রায় ও রাজ্যের মন্ত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার এই বুথভিত্তিক প্রচারের বিষয়টি স্পষ্ট করেন৷
এ প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, ‘আমার বুথে আমি সাথে’, ‘বাঁধন আঁচলের, জয় তৃণমূলের’, ‘সবাই বলো, লক্ষ্মী এলো’ নামে নতুন তিন কর্মসূচি নিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে নামছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ বুথভিত্তিক হবে এই প্রচার৷ অর্থাৎ দুই বা ততোধিক মহিলাদের নিয়ে তৈরী হবে একটি দল, বুথের অন্তর্গত প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সেই বাড়ির মহিলার সঙ্গে কথা বলবেন ওই দলের মহিলারা৷ পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদের দেওয়া হবে একটি করে প্যামপ্লেট বা পুস্তিকা৷ ‘দিদি গ্যারান্টি’ বনাম ‘মোদি গ্যারান্টি’ লাইন সামনে রেখে তৈরী হবে ওই প্যামপ্লেট বা পুস্তিকা৷ দেওয়া হবে একটি বিশেষ খাম, যেখানে লক্ষীর ভাণ্ডারের উপকারীতা বর্ণিত থাকবে৷ এমনকি এই প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টিও স্পষ্ট করে লেখা থাকবে৷ সর্বশেষে ওই নির্দিষ্ট বাড়িতে একটি দলীয় স্টিকার লাগিয়ে দেবেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা৷ “জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন” এই স্লোগান লেখা থাকবে ওই স্টিকারে৷ এককথায়, ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগের পথ বেছে নিচ্ছে ঘাসফুল৷
একাধিক স্লোগান ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রচার কিভাবে চালানো হবে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহিলারা ছোট বড়ো বিভিন্ন কর্মী সভা করবেন ‘বাঁধন আঁচলের, জয় তৃণমূলের’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে৷ ‘আমার বুথে আমি সাথে’ এই স্লোগান তুলে মহিলা তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন প্রচারের জন্য৷ ‘সবাই বলো, লক্ষ্মী এলো’ এই স্লোগান তুলে সেই সকল লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচার চালানো হবে বা জনসভা, পথসভা করা হবে যেখানে মহিলা প্রার্থীরা লড়ছেন৷ নারী মানেই সে লক্ষী, এই বার্তাই দেওয়া হবে স্লোগানের মাধ্যমে৷ পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ মহিলাদের উন্নয়নে একাধিক সামাজিক প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরা হবে৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সংসদে পাঠানোর জন্য বাংলার ৪২ জনের মধ্যে ১২ জন মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ এই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে মহিলা সংগঠনের প্রচারে৷ ঘরে ঘরে প্রচারের পাশাপাশি ছোট ছোট সভা, মিছিলের মধ্যে দিয়েও চলবে জনসংযোগ৷
বাংলায় অসংখ্য নারীকেন্দ্রিক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী যার দ্বারা নারীর প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে৷ এমনকি প্রকল্পগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কৃতও হয়েছে৷ এর আগের নির্বাচনগুলিতেও মহিলা ভোটারদের কাছে টানতে প্রচারে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না৷ নারীদের কাছে টানতে এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্যই এই পদক্ষেপ তৃণমূলের তরফ থেকে৷