পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি সাহিত্যিক ও অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য এক্স-এ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তার জবাবে নিউইয়র্ক থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখলেন স্পিভাক। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, ধর্মনিপেক্ষতায় মুখ্যমন্ত্রীর মতো তাঁরও সমর্থন আছে বলে জানালেন অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক।
নরওয়ে সরকার এবং বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পুরস্কৃত করে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে গায়্ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে। নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কারের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই খবর জানার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিনন্দনবার্তার জবাবে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন স্পিভাক। চিঠিতে স্পিভাক লেখেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্যোগ এবং পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার প্রচেষ্টার ব্যাপারে অবগত। পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে তিনি গত চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছেন। শিক্ষার জন্য তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোর দারিদ্র্য দূর করার প্রচেষ্টার প্রশংসা জানিয়েছেন এবং তাঁর পুরস্কারের প্রসঙ্গেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
স্পিভাক তাঁর চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং এই প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এও জানান, পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত এবং মমতার ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ অবস্থানের সমর্থন করেছেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি গায়ত্রী চক্রবর্তীর চিঠি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপ্লুত ওঁর চিঠি পেয়ে। উনি দীর্ঘদিন ধরেই প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করছেন। আমাদের একসঙ্গে আরও এই ধরণের কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অধ্যাপক স্পিভাক একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, দার্শনিক ও অনুবাদক। সাহিত্যের জগতে তাঁর অবদান আগেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন স্পিভাক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। তাঁর উদ্যোগে বহু পিছিয়ে পড়া শিশু শিক্ষার আলো দেখতে পেয়েছে।