• facebook
  • twitter
Thursday, 23 January, 2025

এবার শিলিগুড়ি হাসপাতাল, অপারেশন থিয়েটারের স্যালাইনে মিলল ছত্রাক

বুধবার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কর্তব্যরত নার্সরা প্রথমে লক্ষ্য করেন, একটি স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক রয়েছে।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নতুন ব্যাচের স্যালাইনে মিলল ছত্রাক। আর তা ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নতুন ব্যাচের স্যালাইনে কীভাবে ছত্রাক এল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ চন্দন ঘোষ বলেন, রুটিন চেকআপের সময় বিষয়টি নজরে আসে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্যালাইনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বুধবার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কর্তব্যরত নার্সরা প্রথমে লক্ষ্য করেন, একটি স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক রয়েছে। দ্রুত তিনি বিষয়টি হাসপাতালের সুপারকে জানান। ছত্রাক থাকা স্যালাইনের বোতলটি বদলে ফেলে নতুন বোতল দেওয়া হয় রোগীকে। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, ওই স্যালাইন যদি কোনও রোগীর শরীরে যেত, সেক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ছত্রাক থাকা স্যালাইনের বোতলটি স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে। মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর রাজ্য সরকার একটি স্যালাইনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর শিলিগুড়ির স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাটির তৈরি সমস্ত স্যালাইন সরিয়ে ফেলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। নতুন সংস্থার থেকে স্যালাইন নেয় তারা। নতুন সংস্থার বোতলে ছত্রাক দেখা যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি হওয়া স্যালাইনে মেলে ছত্রাক। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এক রোগীর পরিবারকে স্যালাইন কিনে আনতে বলা হয়। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ৬টি স্যালাইন কিনে রোগীর পরিবারের এক সদস্য মাতৃমাতে দিয়ে আসেন।

হাসপাতালে কর্মরত আয়া দেখেন, রিঙ্গার ল্যাক্টেট এলআর স্যালাইনের ভিতরে ছত্রাক ভর্তি। ওই স্যালাইনের কোনও ব্যাচ নম্বরও ছিল না। এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার জয়ন্তকুমার রাউত বলেন, আমাদের রাজ্য সরকার এবং মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে ছত্রাক ভর্তি এলআর স্যালাইন নিষিদ্ধ বিক্রি করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।