সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হলো ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’

শনিবার দুপুর ২ টো নাগাদ আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে বারাসাত থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চ ধর্মতলা পর্যন্ত ডাক দেওয়া হয় ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র। সময় মতো ঠিক দুপুর ২ টায় আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে শুরু হয় এই ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’। যার সূচনা করেন নির্যাতিতার মা-বাবা।

‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র সূচনা করে নির্যাতিতার বাবা-মা দাবি করেন, ‘আমাদের মেয়ের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা ১৫ দিন ধরে অনশনরত। এত কষ্ট করছেন তাঁরা, আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা একটা শুভ ইঙ্গিত।‘

নির্যাতিতার মা-বাবা এদিন পানিহাটি এইচবি টাউন মোড় থেকে এই যাত্রার সূচনা করে বলেন, ‘ঘটনার বিচারের জন্য আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সিবিআই তদন্ত চালাছে। সিবিআই এবং শীর্ষ আদালত দুই পক্ষই বলছে ধৈর্য ধরতে। তাই সেইটুকু সময় তাঁদের দিতে হবে’। পাশাপাশি, তিলোত্তমার মা-বাবা আরও বলেন, সিবিআই-এর উপরে তাঁরা আস্থা রাখছেন। কারণ সিবিআই কাজ করছে। ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবেন বলে ভরসা তাঁদের।


টানা ১৫দিন ধরে জুনিয়ার চিকিৎসকদের একটি অংশ ধর্মতলায় নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে ‘আমরণ অনশন’ করছেন। তাঁদের প্রতি নির্যাতিতার মা-বাবা যে উদ্বিগ্ন, আজ তা বুঝিয়ে দিলেন। তাঁরা বলেন, ‘অনশন একটা শেষ অস্ত্র। অনশন মানে মৃত্যু। আমরা কখনওই চাইনি এটা। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁরা যেন হাসপাতালে ভর্তি হয়।‘

এদিন নির্যাতিতার মা ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান, তিনি যাতে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অচলাবস্থা কাটিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার এখনও অধরা, তাই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত শুক্রবারই জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শনিবার ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ নির্যাতিতার বাড়ি থেকে ধর্মতলায় আন্দোলন মঞ্চ পর্যন্ত রিলে পদ্ধতিতে এগোবে। সেইভাবেই এদিন বারাসাত থেকে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চ পর্যন্ত রিলে পদ্ধতিতে এসে পৌছয় মিছিল। এই ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ য় শুধুমাত্র জুনিয়ার চিকিৎসকদের সংগঠন এবং নির্যাতিতার মা-বাবাই ছিলেন না, এদিন মিছিলে পা মেলান জনসাধারণও।