আর কয়েক সপ্তাহ পরেই রাজ্যের ৬ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের দুই কেন্দ্র – কোচবিহার জেলার সিতাই, আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট। তার আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বারলার বোন মেরিনা কুজুর যোগ দিলেন তৃণমূলে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবশ্য তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি।
রবিবার বিকেলে নাগরাকাটায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মেরিনা কুজুর। সেই অনুষ্ঠানেই মেরিনার হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। মেরিনা কুজুর বিজেপির তফশিলি উপজাতি বা এসটি মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি পদে ছিলেন।
মাদারিহাটের উপনির্বাচনের মেরিনার দলবদল নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে বিজেপি। যদিও প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের নেতারা তা মানতে নারাজ। বিজেপির নাগরাকাটা ১ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বরুণ মিত্র জানান, মেরিনা গত ৩ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। ফলে ওঁর দলবদলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।
শুধু বিজেপি নয়, সিপিএমেও ভাঙন ধরিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের টিকিটের নির্বাচিত চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অরবিন্দ গুড়িয়া রবিবার ওই একই অনুষ্ঠানে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন দলের জলপাইগুড়ি জেলার সভানেত্রী মহুয়া গোপ, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর, তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লকের সভাপতি প্রেম ছেত্রী সহ অন্যান্যরা।
এদিকে মেরিনার দলবদল নিয়ে বারলার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও তাঁর উত্তর মেলেনি। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ কল – কিছুরই উত্তর দেননি চা-বলয়ের এই দাপুটে বিজেপি নেতা। মেরিনা বলেন, বিজেপির থেকে উন্নয়নের তেমন কোনও সহযোগিতা পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলবদলের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। এ নিয়ে দাদা জন বারলার সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন মেরিনা।