ঘূর্ণিঝড় ফণীর মােকাবিলায় কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেখ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের সব কর্মী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সকল সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘূণিঝড় ফণীকে সব দিক থেকে মােকাবিলা করতে এই কমিটি বিশেষ পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছে।
সমস্ত বিমান সংস্থাকে জানানাে হয়েছে, শনিবার ভাের ৫.৩০ থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ৭০-৮০ নটিক্যাল মাইল অর্থাৎ প্রায় ১৩০-১৪৫ কিমি বেগে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হবে। ফলে ওই সময়ে বিমান ওঠানামা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার রাত ৯.৩০ থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত সব বিমানের ওঠানামা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় কলকাতায় আসা বিমানগুলিকে অন্যান্য বিভিন্ন বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
এও জানা গিয়েছে, উপর্যপরি প্রবল বেগে ঝোড়াে হাওয়া বইবার অন্য বিমানবন্দরের র্যাডার বন্ধ করে দেওয়া হবে, কারণ তীব্র ঝােড়ো হাওয়ায় র্যাডারের অ্যান্টেনা ক্ষতিগ্রত হতে পারে।
এই সময় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) অফিসাররা বিমানের চালকদের সঙ্গে সরাসরি ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও টেলিফোনের মাধ্যমে যােগাযােগ করে বিমানের নিরাপদ পথনির্দেশ দেবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে যেসব বিমানের রুট রয়েছে, বৃহস্পতিবার শেষ রাত থেকেই ওই সব বিমান পথ পরিবর্তন করে স্থলভাগের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে শুরু করেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এটিসি আধিকারিকদের মাধ্যমে প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়ােজনানুযায়ী উপযুক্ত বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান মেটিওরােলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যােগাযােগ রাখা হচ্ছে এবং যেকোনও বিপর্যয় সময়মতো সামাল দেওয়ার মতো সর্বাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিমান পরিবহণমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মােকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সমত এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রয়ােজনে উদ্ধার ও ত্রাণে সহযােগিতা করার জন্যও অনুরােধ করা হয়েছে।