কলকাতা শহরে আম্ফানের তাণ্ডবে পাঁচশো বছরের পুরনো পাঁচ হাজারের বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে বলে কলকাতা পৌরসংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী শহরে গাছ ভেঙে পড়ার সংখ্যা দ্বিগুণ বলে জানা গিয়েছে। শহরের গাছগুলি ভেঙে পড়ার ফলে দূষণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে বলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
যদিও করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে সারা দেশের সঙ্গে কলকাতা শহরের দূষণও আশাতীতভাবে কমে গিয়েছে। কিন্তু গাড়ি ঘোড়া চালানোর পর এই দূষণের মাত্রা যে হারে বাড়বে তা রোধ করার কোনও উপায় থাকবে না।
শহারের গাছগুলি গাড়ির ধোঁয়ায় নির্গত কার্বণ শুষে নিত। শহরের এক তৃতীয়াংশ গাছই উপড়ে গিয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই দূষণের মাত্রা ২.৫ স্তরে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। কারণ সে সময় লকডাউন শেষ হলেই আট লাখ গাড়ি চলতে শুরু করবে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন আগামী বর্ষা মরসুমেই বিপুল সংখ্যক গাছ লাগানো হবে শহর জুড়ে। লকডাউন উঠলেই গাছ লাগানোর জন্য লাগাতার প্রচার অভিযান শুরু হবে। শহরের মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করা হবে।
কলকাতা পৌর সংস্থার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের সবুজায়নের জন্য গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, একটি উপড়ে পড়া গাছের জন্য অন্তত দশটি গাছ লাগানো হবে। এটাই নিয়ম ক্ষতিপূরণের।
কেবল রবীন্দ্র সরোবরেই দুশোর বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে। আম্ফানের তাণ্ডবে হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিকল গার্ডেনের বিশ্বখ্যাত বটবৃক্ষের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। বাগানের অন্যান্য বহু মূল্যবান দুষ্প্রাপ্য বৃক্ষও উপড়ে পড়েছে।