সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: এবার রানীগঞ্জে দুই পৃথক ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে অতর্কিতে হানা দিল পুলিশ।, দুই পৃথক স্থান থেকে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে অন্য কোথাও দুষ্কৃতীমূলক ঘটনা সংঘটিত করার আগেই তাদের ধরে ফেলল পুলিশ। যার প্রথম দুষ্কৃতী দলের তিন দুষ্কৃতী, যাঁরা এর পূর্বে ১৭ ই জুন ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল। সেই ডাকাতির ঘটনার পর অন্য দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এই তিন দুষ্কৃতী গা ঢাকা দেয়। তাদেরকে রবিবার সকাল ভোর প্রায় একটা নাগাদ, রানীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারি ফুটবল ময়দানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার আগেই ধরে ফেলে বলে পুলিশের দাবি।
ধৃতরা হলেন বছর তেত্রিশের রানীগঞ্জের রাজার বাঁধ ইমামবাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফইম। ওই একই এলাকারই বাসিন্দা বছর আটাশের মোহাম্মদ মহসিম ও বছর কুড়ির রনায় ঈদগাহ মহল্লার, কলিম শাহ-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এর পরপরই পুলিশের পিসি পার্টির বিশেষ দল ও পুলিশের নজরদারি দলের সদস্যরা, রানীগঞ্জে , পূর্বে এই বছরেরই ২৯ শে মে তারিখে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে, দ্রুত সেখানে হানা দিয়ে, অন্য দুষ্কৃতী দলকে সেসময় পুলিশ ধরতে সক্ষম হলেও, সে যাত্রায়, দুই দুষ্কৃতী ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এবার সেই দুষ্কৃতীদের, রানীগঞ্জের নন্দলাল জালান স্কুলের পাশের জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এখানে ধৃতরা হল, বছর ত্রিশের রানীগঞ্জের রণায় নতুন মসজিদ এলাকার বাসিন্দা জয়নুল খান, ও বছর ৩৬ এর কুরেশি আমন মহল্লার মাজার শরীফের বাসিন্দা, এহেসান কুরেশি ওরফে নুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে, উভয় ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা পূর্বে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর এবার, তারা সেই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করার আগেভাগেই, দুই পৃথক স্থানে, পুলিশ হানা দিয়ে পেল সফলতা। জানা গেছে পূর্বে তারা ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করার সময়, সেখানে পুলিশি অভিযান চলায়, সেখান থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায়।
- পরে পুলিশ অন্য সকল ধৃত দুষ্কৃতী দলের কাছে, ওই সকল সদস্যদের, ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার খবর পেয়ে, তাদের প্রসঙ্গে নজরদারি দলকে সতর্ক করে, রবিবার রাত্রে, বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালিয়ে, সোমবার দিনের আলো ফোটার আগেই দুই পৃথক পৃথক এলাকায় দুটি দুষ্কৃতী দল কে গ্রেপ্তার করে পায় সফলতা। জানা গেছে পুলিশ ধৃতদের, ডাকাতির পরিকল্পনা ও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করার অভিযোগে, অভিযোগ দায়ের করে, তাদের রবিবার আসানসোল জেলা আদালতে হাজির করলে বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।