গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে এই প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার থেকেই ১২ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে আরও ৬০ হাজার টাকা। সরাসরি এদিনই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের প্রথম মাসের মধ্যেই সেই টাকা দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম হলেও কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। বারবার অনুরোধ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ৬৯টি কেন্দ্রীয় দল বাংলায় এসেছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র নবান্ন থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কেন্দ্রের উপর আর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের উদ্যোগেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফায় বাড়ি তৈরি করার জন্য দেওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হবে আরও ৬০ হাজার টাকা। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নবান্ন সভাঘরে ৪২ জন উপভোক্তার হাতে চেক ও স্মারকপত্রও তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই কিস্তিতে আবাসের টাকা দেওয়া হবে। ১২ লক্ষ উপভোক্তা এই টাকা পাবেন। ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সকলেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের মোট ১৪ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। যোগ্য উপভোক্তাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য কড়া নজরদারি মাধ্যমে সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রায় ৩৪ লক্ষ বাড়িতে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমীক্ষা হয়েছে। তারপরেই সেখান থেকে ২৮ লক্ষ যোগ্য উপভোক্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে সেই ২৮ লক্ষের মধ্যে ১২ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়া হল। বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তাহলে সেক্ষেত্রেও রাজ্যই তাঁদের দিয়ে দেবে। ২০২৬ সালের আগেই দুই কিস্তিতে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেই বছরের শুরুতেই বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার ঘোষণা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।